images

শিক্ষা

থমথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাম্পাসে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দিনভর সংঘর্ষের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে ঢুকেছে পুলিশ। বিভিন্ন হলের সামনে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সংঘর্ষ আপাতত থামলেও যেকোনো সময় আবার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে বিজয় একাত্তর হল থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ বিকেলে থেমে থেমে চলে। সন্ধ্যায় আরেক দফা সংঘর্ষ চলে শহীদুল্লাহ হল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে। হলের ভেতর থেকে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে। আর বাইরে থেকে হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে।

সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে ঢাবির দোয়েল চত্বর এলাকা থেকে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এ সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের একটি গ্রুপ এবং পুলিশের সাঁজোয়া যান একসঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

আরও পড়ুন

রণক্ষেত্র ঢাবি: প্রভোস্টদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ভিসির

সন্ধ্যা ৭টার পর শহীদুল্লাহ হলের ভেতরে অবস্থান করা কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জাভেদ হোসেনের উপস্থিতিতে হলের নিচে নেমে আসেন। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশকে দেখে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

Police2

ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশ করায় বিক্ষুব্ধ হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘টোকাই-পুলিশ গো ব্যাক গো ব্যাক’, ‘আমার উপর গুলি কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হলে ফিরে যাওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা অনুরোধ করলে তাদের সঙ্গে অনেককেই বাগবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন

দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত, আন্দোলন অব্যাহত থাকবে: নাহিদ

এদিকে ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে হল প্রভোস্টদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মাকসুদ কামাল। বৈঠক শেষে তিনি জানিয়েছেন, আজ রাতে হল প্রভোস্টরা নিজ নিজ হলে অবস্থান করবেন। এছাড়া আরও কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা বিজ্ঞপ্তিতে আকারে গণমাধ্যমকে জানানো হবে। হল বন্ধ ঘোষণা হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। 

01

এর আগে বেলা ১২টার পর ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন কোটা আন্দোলনকারীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের রাজাকার বলেছেন এমন অভিযোগ তুলে সরকারপ্রধানের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে দুপুরে তারা জড়ো হলে সেখানে সমাবেশ করতে আসে ছাত্রলীগ। প্রথমে ছাত্রলীগকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিলেও পরে ছাত্রলীগের হামলায় কোটা আন্দোলনকারীরা পিছু হটে। অল্প সময়ের ভেতরে ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্রলীগ। এরপর থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ। 

আরও পড়ুন

ঢাবির হলে হলে ঢুকে ছাত্রলীগের ওপর হামলার অভিযোগ

ছাত্রলীগের হামলায় কোটা আন্দোলনকারী দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার দাবি করেছেন এই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, হামলা চালিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান নাহিদ। 

এদিকে দিনভর সংঘর্ষে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শতাধিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

জেবি