images

অর্থনীতি

ডলার নিয়ে কারসাজি: ৫ মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০২ আগস্ট ২০২২, ০৬:২০ পিএম

ডলার নিয়ে কারসাজি করলে সংশ্লিষ্ট মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল আগেই। সে অনুযায়ী টিমও মাঠে নামায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবার ডলার নিয়ে কারসাজির প্রমাণ পাওয়ায় রাজধানীর পাঁচটি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪২টিতে শোকজ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি জানান, বিসমিল্লাহ মানি এক্সচেঞ্জ, অঙ্কন মানি এক্সচেঞ্জ ও ফয়েজ মানি এক্সচেঞ্জসহ পাঁচ মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।

এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় নয়টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নি‌তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হ‌য়েছে বলেও জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র।

আরও পড়ুন: ডলারের দামে কারসাজি রুখতে ‘অ্যাকশনে’ বাংলাদেশ ব্যাংক

হুঁশিয়ারি দিয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, সংকটের এই সময়ে ডলার নিয়ে কারসাজি করলে সংশ্লিষ্ট মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ডলার নিয়ে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ‘ডলারের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দল এ পর্যন্ত ৮০টি মানি চেঞ্জার পরিদর্শন করেছে। এর মধ্যে ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে ডলার কেনাবেচায় বিভিন্ন অনিয়মের কারণে শোকজ করা হয়। আর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করেছে। এর মধ্যে আগে তিনটি আর মঙ্গলবার আরও দুইটি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।’

২৩৫টি মানি চেঞ্জার বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিলেও বাজারে ৭০০ বেশি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে৷ এদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কি ধরনের পদক্ষেপ নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘লাইসেন্স ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে, তাদের ধরার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।’

কী ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ডলার সেল করেছে কিন্তু এন্ট্রি করেনি। ডলার বিষয় জানতে চাইলে যথাযথ উত্তর পাওয়া যায়নি, মাত্রাতিরিক্ত টাকা পাওয়া গেছে এসব বিভিন্ন অনিয়ম বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে উঠে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে রপ্তানির থেকে আমদানি বেশি হয়। ৮০ বিলিয়ন ডলার আমদানির বিপরীতে রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন। এ জন্য আমদানি কমাতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। ফলে আমদানির হার কমে এসেছে।

বিইউ/এমআর