images

অর্থনীতি

সরবরাহ বাড়লেও নাগালের বাইরে শীতের সবজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৯ এএম

রাজধানীর কাঁচাবাজার গুলোতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ প্রতিদিনই বাড়ছে। দাম কিছুটা কমলেও অধিকাংশ সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। নতুন বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগমসহ বেশিরভাগ শীতের সবজি বিক্রি হচ্ছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি দামে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর শ্যামবাজার, যাত্রাবাড়ীসহ কয়েকটি বাজার পরিদর্শন করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

বিক্রেতাদের দাবি, গত অক্টোবরের অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে সারাদেশে শীতকালীন সবজির উৎপাদন বিঘ্নিত হয়েছে। অনেক এলাকায় সবজির ক্ষেতও নষ্ট হয়েছে। ফলে স্থানীয় পর্যায়েও দাম চড়া।

vegitable-dhakamail

যদিও বাজার এখন শীতের বিভিন্ন সবজিতে পরিপূর্ণ- শিম, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, টমেটো, গাজর, মিষ্টিকুমড়া, পালং শাক, লাউ, মুলা- সবই পাওয়া যাচ্ছে। তবে ক্রেতারা দামে সন্তুষ্ট নন।

যাত্রাবাড়ীতে সবজি কিনতে আসা সবুর আলী ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে শীতের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। আগের তুলনায় দাম কিছুটা কমলেও সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে রয়েছে দাম।’

এখন বাজারে ভালো মানের বেগুনের দাম কেজিতে ৮০–১০০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ৫০–৬০ টাকা। নতুন শিমের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বা তারও বেশি। কোথাও ভালো শিম ৭০–৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ অন্যান্য বছর এ সময় শিম ৫০ টাকা এবং কপি ২০–৩০ টাকায় পাওয়া যেত।

নতুন আলু সবসময় একটু বেশি দামে বিক্রি হয়। এবারও ব্যতিক্রম নয়-কেজিতে ১২০–১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সবজির মধ্যে বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০–৮০ টাকায়। ঢ্যাঁড়স ও পটোলের দাম কেজিতে ৫০–৭০ টাকা। নতুন মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ৮০–১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেউ কেউ কেজিতে ৫০ টাকা বিক্রি করছেন৷ 

তবে শাকের দাম কিছুটা কম রয়েছে। যদিও ক্রেতাদের দাবি, মুঠিতে আগে যে পরিমাণ স্বাদ পাওয়া যেত তা পরিমাণে কমে গেছে। ফলে দামও কিছুটা কম। 

vegitabl-dhakamail

ক্ষোভ প্রকাশ করে রফিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘শীতের সবজি বাজারে এসেছে বেশ কয়েক সপ্তাহ হলো। সাধারণত এ সময় দামের স্বস্তি পাওয়া যায়। কিন্তু এ বছর উল্টো দাম আরও বাড়ছে। পরিবারের বাজার সামলানো এখন খুব কঠিন।’
এক নারী ক্রেতা জানান, সবজি ছাড়া রান্না চলে না। কিন্তু প্রতিদিন দাম বাড়ছে, বাজেটই মেলাতে পারছি না।

ব্যবসায়ীরা জানায়, মাসখানেক আগে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে উৎপাদন কমে যায়। কৃষকরা নতুন করে চাষ করেছেন। সারাদেশ থেকে ঢাকায় সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও ৭–১০ দিন লাগবে। তখন দাম কমে আসবে।

এদিকে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও অনেক জায়গায় ১১০–১১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর ডিম ও মুরগির বাজার তুলনামূলক স্থিতিশীল। ফার্মের ডিম ডজনপ্রতি ১২৫–১৩০ টাকা, আর ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৬০–১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন- মাঠ পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা, পণ্য সংগ্রহ ও পরিবহন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, বাজারে নিয়মিত মনিটরিং অত্যাবশ্যক।

এমআর/এমআই