images

অর্থনীতি

ব্যাংক খাতে তথ্য সংগ্রহের দরজা বন্ধ করা হয়েছে: সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ মে ২০২৪, ০২:১১ পিএম

ব্যাংক খাতে তথ্য সংগ্রহের দরজা বন্ধ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলছে— দেশের আর্থিক খাত ব্যাংক নির্ভর। দেশের উন্নয়নে এ খাতের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। অথচ সেই ব্যাংক খাতে ভঙ্গুরতা দেখা দিয়েছে। সুশাসন-জবাবদিহিতার হরণ ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ব্যাংক খাতের সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলেচনায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ঋণ অনুমোদন, পুনঃতফসিল, অবলোপন সবই নিজেদের মতো করে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরের চাপে কিংবা নিজেরা ইচ্ছা করে স্বাধীনভাবে কাজ করছে না। এ অবস্থার উন্নয়ন করতে হবে।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ভুল তথ্য প্রকাশিত হলে নীতি ভুল হয়। উন্নত দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে রিয়েল টাইম তথ্য দেওয়া হয়। অথচ আমাদের এখানে সেটা নিশ্চিত না করে উল্টো তথ্য সংগ্রহের দরজা বন্ধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়েও মূল্যস্ফীতির প্রভাব

তিনি আরও বলেন, ব্যাংক খাতের সুশাসন ফেরাতে, নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বাংলাদেশ ব্যাংক) নিজে যখন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তারা নিজেরা স্বাধীন বলা হলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগের অধীনস্থ করা হচ্ছে বা কাজ করতে হচ্ছে অথচ তারা স্বাধীন। এ অবস্থায় ব্যাংকখাতের স্বাস্থ্য ফেরাতে স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠনের কোনো বিকল্প নেই; যারা ব্যাংকের সার্বিক স্বাস্থ্য দেখবে এবং তুলে ধরবে। কেবল কমিশন গঠন করলেই হবে না, স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতাও থাকতে হবে কমিশনের।

খেলাপি নিয়ে ড. ফাহমিদা বলেন, গত ১০ বছরে চারগুণ বেড়েছে খেলাপি ঋণ। এর আগে যেখানে ৪২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ ছিল সেখান থেকে বেড়ে এখন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকায় এসেছে। খারাপ অবস্থানে শুধু সরকারি না বেসরকারি ব্যাংকও একই অবস্থানে। তবে ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলো ভালো আছে। ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে তথ্য দিচ্ছে না, তার মানে তারা সেটা ফুলফিল করতে পারে না।

তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকে ক্রমান্বয়ে তারল্য সংকট দেখা দিচ্ছে। শরীয়া খাতের ব্যাংকে ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তারল্য ছিল ৩৯ শতাংশ। তবে ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংকটির তারল্য ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ইসলামী ব্যাংকের ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে মালিকানা পরিবর্তন হয়।

টিএই/এইউ