images

অর্থনীতি

বিবিয়ানায় গ্যাসের মজুদ আরও ১ টিসিএফ বাড়ার সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম

বিবিয়ানায় গ্যাসের মজুদ আরও ১ টিসিএফ (ট্রিলিয়ন ঘনফুট) বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ২০২৫-২৬ এর দিকে গ্যাসের উৎপাদন কমতে পারে, ২০২৭ সালে গ্যাপ পূরণ হয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বহির্বিশ্বে যদি জ্বালানির সংকট তৈরি হয়, সে জন্য প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে সংকট বড় হলে বিদ্যুৎ জ্বালানি পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। আমরা প্রস্তুতি রাখছি তবে মাত্রা বেশি হলে চিন্তা থেকেই যায়।

বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হলে বিদ্যুতের দাম কমে আসা প্রসঙ্গে নসরুল হামিদ বলেন, তখন কয়লার দাম ছিল ৭৫ ডলার এখন ৯০ ডলার। ডলারের পার্থক্যের সঙ্গে ডলারের দরে তারতম্য জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ১৪০ ডলার হয়েছিল তেলের দাম, বিশাল ধাক্কা মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবে এখনও পরিস্থিতি হাতের বাইরে যায়নি বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, উন্নয়নের গতি পেয়েছে ক্রেডিট বিদ্যুৎ জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের। প্রাইস আমাদের হাতে নয়, জ্বালানির প্রাইস নির্ধারণ করে বিশ্ব। আমরা আধুনিক প্রাইসিং নিয়ে কাজ করছি, ভর্তুকি থেকে বের হয়ে আসতে চাচ্ছি। যখন দাম কমবে তখন কমবে, যখন বাড়বে সমন্বয় করা হবে।

বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশ মোট ৩টি ব্লক থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে। তাদের হাতে রয়েছে ব্লক-১২ নম্বরে থাকা বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র, ব্লক-১৩ নম্বরে থাকা জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্র, ব্লক-১৪ নম্বরে থাকা মৌলভীবাজার গ্যাসক্ষেত্র। এর মধ্যে বিবিয়ানা দেশের অন্যতম বড় গ্যাসক্ষেত্র।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর গ্যাস উত্তোলনের হিসাব অনুযায়ী ১০৮০ দশমিক ১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করেছে গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে। ওই দিন শেভরন মালিকানাধীন ৩টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে মোট ১২৮০ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত গ্যাসের ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ।

টিএই/এইউ