নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৪ এএম
রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর রাতারাতি ‘ভেলকি’ দেখিয়েছে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। শুক্রবার দুপুরে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ শনিবার বাজারভেদে বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত। একই দিন আমদানি করা পেঁয়াজ (ইন্ডিয়ান) বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে।
শনিবার রাজধানীর কাওরান বাজার, রায়ের বাজার, হাতিরপুল বাজার, পলাশী বাজার, শান্তিনগর বাজার, মিরপুর ৬ নম্বর কাঁচাবাজার, রামপুরা কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারে ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রফতানি বন্ধের ঘোষণাকে পুঁজি করে পেঁয়াজ আটকে রেখে মুনাফা লুটছে একটি অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট।
এর আগে গেল ৮ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রফতানি আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধের আদেশ জারি করে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি)। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার রাতেই দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে যায়। পরে শনিবার সকাল থেকে আরেক দফা বাড়ে এই দাম।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতে পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করা নতুন কিছু না হলেও বাংলাদেশের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা হঠাৎ দাম বাড়ার জন্য ভারতের নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোকে দায়ী করছেন।
তারা বলেন, নিষেধাজ্ঞাটি ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে এবং এটি কেবল বাড়ানো হয়েছে এবং এটি বর্তমান পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগে। কিন্তু হঠাৎ করে দাম বাড়ানোর পেছনে বাজারের একদল নিয়ন্ত্রণকারী বা সিন্ডিকেট কাজ করেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভোরে পাইকারি আড়তে গিয়ে পেঁয়াজের সংকটের কথা শুনেছি। রসুন, আদা সব আছে, শুধু পেঁয়াজ নেই।
তারা বলেন, আড়ত থেকে যেই দামে কিনে আনি, তার সঙ্গে দোকান ভাড়া, পরিবহন খরচ যোগ করে বিক্রি করি। তবে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ পাইকার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মাজেদ বলেন, ভারতের রফতানি নিষেধাজ্ঞা দেশের বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। গত কয়েক দিন ধরে আকস্মিক বৃষ্টিও দামে প্রভাব ফেলেছে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই সারাদেশে আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে। অধিদফতরের চার কর্মকর্তার নেতৃত্বে চারটি দল ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারাও দেশের ভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছেন। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।
এইউ