ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের খবরে এক রাতেই প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা। গতকাল শুক্রবার সকালেও দেশি পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০-১২০ টাকায়। রাতারাতি পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের একটি টিম বিক্রেতাদের কাছে রশিদ দেখতে চাইলে তারা দেখান প্রতি কেজি পেঁয়াজ কেনা আছে ১১০ টাকা। তারা বলছেন, ওই দরে কেনা পেঁয়াজ শেষ হয়ে গেছে। রাজধানীর অন্যান্য বাজারগুলোতেও একই অবস্থা দেখা গেছে। মহল্লার মুদি দোকানগুলোতে আরও ১০-২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।
এক রাতেই পেঁয়াজের দাম এত বেড়ে যাওয়া ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। রাজধানীর মুগদা ঝিলপাড় এলাকায় পেঁয়াজ কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, পেঁয়াজের বাজারে ঠাডা পড়ছে। না হলে এক রাইতে ১২০ টাকার পেঁয়াজ ২০০ টাকার বেশি হয় ক্যামনে। দোকানে এখনও যে পেঁয়াজ আছে এগুলা তো আগের কেনা।
গতকাল শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) এক আদেশে, ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত। মূলত দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ভারত সরকার আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করার এ পদক্ষেপ নেয়।
ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) জানায়, পেঁয়াজের রফতানি নীতি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে, তবে তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে।
চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো তিন কৃষিপণ্য আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের আলোকে দেশি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সরকার নির্ধারিত এই দাম কার্যকর না হলেও সেই সময় ভোক্তা অধিকারের অভিযান ও আমাদানির ফলে ৭০-৮০ টাকায় নেমে আসে পেঁয়াজ। আবারও সেই পেঁয়াজের বাজারে শুরু হয়েছে অস্থিরতা।
টিএই/এএস