images

সারাদেশ

নেত্রকোনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক যাচাইয়ের সময় হামলা, আহত ৩

জেলা প্রতিনিধি

৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম

নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক শতাংশ ভোটারের দাখিল করা তালিকা প্রকাশ্যে যাচাইকালে প্রতিপক্ষের সমর্থকদের হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহতরা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন- বলাইশিমুল ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আনিসুর রহমান ও মাইজপাড়া আবুল কালাম ও স্থানীয় ইউপির নারী সদস্য কলি আক্তার।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার নেত্রকোনা-৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়াসহ ছয়জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের দাখিল করা এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর দৈবচয়ন পদ্ধতিতে যাচাই করার উদ্যোগ নেয় কমিশন। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কেন্দুয়ার গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান স্বাক্ষর যাচাই করতে বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদে যান। সেখানে দেলোয়ার হোসেনের সমর্থকরা পরিষদে হাজির হলে বিএনপি প্রার্থী রফিকুল ইসলামের সমর্থকরাও এসে জড়ো হন। এ সময় আড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের সমর্থক আনিসুর রহমান ও মাইজপাড়া আবুল কালাম সেখানে গিয়ে লোকজন জড়ো হওয়ার বিষয় জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপির প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের সমর্থক বলাইশিমুল গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তাইজ্জত, মাজেজুল হক ওরফে দীপক, পারভেজ মিয়াসহ কয়েকজন তার ওপর ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

আহত আনিসুর রহমান বলেন, আমি লোকজন দেখে পরিষদে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে বিএনপির প্রার্থীর সমর্থক তোফাজ্জল হোসেন, মাজেদুল, পারভেজসহ ১০ থেকে ১২ জন হামলা চালায়। এ সময় আমার সঙ্গে আবুল কালামকেও মারধর করা হয়। এভাবে পরিষদে লোকজন ডেকে এনে স্বাক্ষর যাচাই করা কর্মকর্তা ঠিক হয়নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থার দাবি জানাই। 

পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য কলি আক্তার বলেন, এভাবে কোনো কারণ ছাড়া হামলা করা ঠিক হয়নি। আমি ফেরাতে গিয়ে হামলাকারীদের আঘাতে ব্যথা পেয়েছি।

আরও পড়ুন

গোপালগঞ্জে ওয়ান শুটারগানসহ যুবক গ্রেফতার

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত তোফাজ্জল হোসেন হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এটা আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। দুই পক্ষের মধ্যে কিছুটা বাকবিতণ্ডা হয়েছে। কোনোরকম হামলার ঘটনা ঘটেনি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ভুঁইয়া বলেন, আমি দলের চেয়ারপারসনের জানাজায় ছিলাম। বিষয়টি শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। এ ব্যাপারে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

জানতে চাইলে বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, বিষয়টি আমি এখনো শুনিনি। খোঁজ নিয়ে জানতে হবে। আমার কোনো সমর্থক এরকম করে থাকলে প্রয়োজনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রিফাতুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে স্বাক্ষরকারীদের ডেকে এনে কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য অভিযুক্ত হন তবে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদে স্বাক্ষর যাচাইকালে উপস্থিত স্থানীয়রা।

প্রতিনিধি/এসএস