জেলা প্রতিনিধি
৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়িতেও শোকাবহ অবস্থা বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোরে মজলুম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আশপাশের আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশি ও দলীয় নেতাকর্মীরা মজুমদার বাড়িতে জড়ো হন। এসময় ফেনীর বিভিন্ন মসজিদের মাইকে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর প্রচার হলে পুরো জেলায় শোক ছড়িয়ে পড়ে। ফেনী-১ আসনে নির্বাচন করে ৩ বার প্রধানমন্ত্রী ও একবার বিরোধী দলীয় নেত্রী হন তিনি। আপসহীন নেতৃর খ্যাতি পাওয়া খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ফেনীবাসীর সর্বাধিক প্রচারিত শ্লোগান ‘ফেনীর মেয়ে খালেদা; গর্ব মোদের আলাদা’ এ শ্লোগানটিও আর শোনা যাবে না।
পৈত্রিক নিবাসে জনসাধারণের জন্য বেগম জিয়া নির্মাণ করেছেন মাদরাসা, মসজিদ স্কুল কলেজসহ বহু স্থাপনা। বেগম জিয়ার মৃত্যুতে ফুলগাজীসহ ফেনী জেলা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
বেগম জিয়ার চাচাতো ভাই সামীম হোসেন মজুমদার বলেন, বাড়িতে আসলে তিনি বড়দেরকে যেমন শ্রদ্ধা করতেন তেমনি ছোটদেরকে অনেক বেশি আদর করতেন।
![]()
চাচাতো ভাই জাহিদ হোসেন মজুমদার বলেন, খালেদা জিয়াকে হারিয়ে আমরা আজ শোকে মূহ্যমান। তিনি ছিলেন এ বাংলাদেশের একটা চাবি। নির্মম জেল জুলুমেও তিনি দেশ ছেড়ে যাননি। খালেদা জিয়া ছিলেন এ মাটির সন্তান। তার চলে যাওয়ায় অপূরণীয় ক্ষতি জাতি কখনো পোষাতে পারবে না।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বাড়ির পাশেই দীঘির মাছ খুব পছন্দ করতেন বেগম জিয়া। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পরে হেলিকপ্টার যোগে ফেনীতে আসেন তিনি। তাকে বহন করা হেলিকপ্টারটিকে আধাঘণ্টা দাঁড় করিয়ে দিঘির মাছ নিয়ে ঢাকায় ফেরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও বাড়ির প্রতিটি ধুলি কণার সঙ্গে মিশে আছে বেগম জিয়ার হাজারো স্মৃতি। বাড়ির পাশে সান বাঁধানো ঘাটে বসে গল্প করতেন ভাইদের সঙ্গে। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েও খুব সাদাসিদে জীবন যাপন করতেন তিনি। যার সত্যতা পাওয়া গেছে পরিবার এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে।
গ্রামের আব্দুল আলিম বলেন, তিনি শুধু আমাদের গর্ব নয়, তিনি বাংলাদেশের বাতিঘর ছিলেন। তাকে হারিয়ে আজ পুরো এলাকাবাসী শোকে স্তব্ধ।
প্রতিনিধি/টিবি