images

সারাদেশ

শীতে কাঁপছে দিনাজপুর, দেখা নেই সূর্যের

জেলা প্রতিনিধি

২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৩ পিএম

উত্তরের জনপদ দিনাজপুরে কনকনে শীতের তীব্রতা চলছে। গত দুই দিন থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না, আর ঝরছে বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯২ শতাংশ।

দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের অনুপস্থিতি এবং হিমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কুয়াশার কারণে দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে দিনভর হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে।

কৃষিশ্রমিক এবং খেটে খাওয়া মানুষরা শীত এবং ঘন কুয়াশার কারণে বিশেষভাবে বিপাকে পড়েছেন। অনেকে কাজে যেতে পারছেন না, যারা গেলেন তারা শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অসহায় ও দুঃস্থ মানুষরা শীত নিবারণে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুন

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন, দুর্ভোগে নিম্নআয়ের মানুষ

অটোচালক মোমেন ইসলাম বলেন, সকালে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছি। চারপাশে ঘন কুয়াশা আর হাড়কাঁপানো শীত। রাস্তাঘাট যেন একেবারেই নির্জন। মানুষজনও শীতের তীব্রতা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যাত্রী পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।

thumbnail_Dinajpur-1

মোটরসাইকেল চালক ও এনজিও কর্মী শামিম জানান, গত দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। শীতের দিনে চলাচল সত্যিই কষ্টকর। ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলে চলতে অসুবিধা হয়, বিশেষ করে হাত-পা জমে যাওয়ার কারণে। তবুও জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রতিদিনই বাইরে বের হতে হয়।

কৃষক দিবস বলেন, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার প্রভাবে বোরো ধানের বীজতলায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ঠান্ডার কারণে অনেক বীজতলা লালচে হয়ে গেছে। এছাড়া কৃষিশ্রমিকরা মাঠে কাজ করতে পারছেন না। এর ফলে বোরো আবাদসহ সামগ্রিক কৃষিকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রোববার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। হালকা বাতাস এবং ঘন কুয়াশার কারণে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এমন আবহাওয়া সম্ভবত ২ জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

প্রতিনিধি/এসএস