images

সারাদেশ

পঞ্চগড়ে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, ছিন্নমূল মানুষের ভোগান্তি

জেলা প্রতিনিধি

২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৯ এএম

উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসে বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা ঝরছে পঞ্চগড়ে। এ কারণে জেলাায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে এ জেলায় তাপমাত্রা ১২ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। সেকারণেই বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। ভোগান্তি বেড়েছে ছিন্নমূল মানুষের।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১০-১২ কিলোমিটার ছিল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলেনি।

thumbnail_20251225_075833

স্থানীয়রা জানান, পঞ্চগড়ের আশপাশের জেলায় কয়েক দিন থেকে হিমালয়ের হিমেল বাতাসে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। তীব্র ঠান্ডার কারণে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছেন। হিমেল হাওয়ায় বিকেল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ঝরছে টিপ টিপ করে। যেন মনে হয় বৃষ্টি ঝরছে। কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে সন্ধ্যার পর সাধারণ মানুষ গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। কাজে যেতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। শীতবস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা কাহিল।

এদিকে, শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে নিম্ন ও মধ্যআয়ের মানুষেরা ভিড় করছে জেলার হকার্স মার্কেটগুলোতে। তবে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষগুলো। এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলেও এখনও সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

thumbnail_20251225_082226(1)

অপরদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতাল গুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

 

তেতুঁলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড় জেলাটি হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর- পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আজ সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার ছিল। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।

প্রতিনিধি/টিবি