জেলা প্রতিনিধি
২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম
গাইবান্ধা জেলায় গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা অব্যাহত রয়েছে। ঘন কুয়াশায় ঢেকে সড়ক-জনপদ। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলাতেও ছোট-বড় যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
সম্প্রতি ঘন কুয়াশার কারণে গাইবান্ধার বিভিন্ন রুটে যানবাহনের গতি কমে যাওয়ায় যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দিনমজুর, রিকশাচালক ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। যাদের জীবন ও জীবিকা সরাসরি আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল।
এদিকে শীতের প্রকপে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যারা বের হচ্ছেন, তারা শীত নিবারণের জন্য পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরিধান করছেন। ঘন কুয়াশার কারণে চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে দিনের আলো থাকলেও যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে বাধ্য হচ্ছে।
রিকশা চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সময় এখন প্রায় দুপুর ২টা। সূর্যের আলো এখনো দেখা যায়নি। অন্যদিনে এ সময়ের মধ্যে তিন থেকে চারশো টাকা রোজগার হতো। আর আজকে এখন পর্যন্ত একশ টাকায় কামাই করতে পারিনি। শীতের কারণে লোকজন বাহিরে বের হচ্ছে না। পরিবার পরিজনদের নিয়ে খুব খারাপ সময় পার করছি।’
মতিয়ার রহমান নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, ‘ফজরের নামাজ আদায় করে বের হয়েছি। এক ঘণ্টার রাস্তা পার হতে দেড় ঘণ্টা লাগলো। আরও পাঁচ কিলো সড়ক বাকি আছে। শীতের কারণে বাইক জোরে চালানো যাচ্ছে না।’
মালবাহী ট্রাকচালক আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, ‘কুয়াশার কারণে সড়ক দেখা যায় না। সে কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। গাড়ির গতি সামান্য রেখে চালাতে হয়। আর এ কারণে সময়মতো মালামাল পৌঁছে দিতে পারছি না।’
রংপুর বিভাগের আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বে থাকা আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজার রহমান জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে গাইবান্ধা জেলার সর্বনিম্ন আবহাওয়া তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রতিনিধি/এমআই