images

সারাদেশ

সোনারগাঁয়ে আাসামিরা হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদীর পরিবারে হামলার অভিযোগ

উপজেলা প্রতিনিধি

২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মহজমপুর উত্তর কাজীপাড়া এলাকার আলোচিত শাওন হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বের হয়ে মামলার বাদী মোতালেবের পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে মহজমপুর বাজারে বাদীর বাবা আলী আজগরকে তুলে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত আলী আজগর বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় গতকাল একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বিগত দেড় বছর আগে আলী আজগরের ছেলে শাওনকে তুচ্ছ ঘটনায় নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত যুবক শাওনের ভাই মোতালেব বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে এই মামলার আসামিরা জামিনে বের হয়ে এসে বিভিন্ন সময় মামলা তুলে নিতে বাদী মোতালেব ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায়। এখন দীর্ঘদিন ধরে হত্যাকারীদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন বাদী মোতালেব।

আরও পড়ুন

হাতিয়ায় জলদস্যুদের দু’পক্ষে গোলাগুলি, নিহত ৫

এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিহত শাওনের বাবা আলী আজগরকে একা পেয়ে বিবাদী লতিফ কামরুজ্জামান ওরফে কামু, জাবেদ, বাদশা, বাবুল, ফারুক, সুরুজ মিয়া, জাকির, জাহিদ, হোসেন, মারুফ, মিন্নত আলী ও হামিদুল সর্বসাং- কাজীপাড়া, থানা- সোনারগাঁও, জেলা-নারায়ণগঞ্জসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন বিবাদীরা দা, চাপাটি, লোহার রড, লাঠিসোঁটা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহজমপুর বাজারে শাহী মসজিদের সামনে গিয়ে বিবাদীরা এলোপাথাড়িভাবে কিল-ঘুষি মেরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে।

আসামি লতিফ, কামরুজ্জামান ওরফে কামু এবং বাবুল তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশে পিটিয়ে তার মাথাসহ দুই পায়ের হাঁটু, দুই হাতের কবজির ওপরে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে। আসামি বাদশা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। আসামিরা তার ছেলে মো. মোতালেবকে তাদের কাছে এনে দিতে বলে। তারা আমার ছেলে মো. মোতালেবকে নিয়া আসামিদের কাছে দিতে অস্বীকার করলে, আসামিরা তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। ঘটনার খবর পেয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা পর তার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিববুল্লাহ জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমি তাৎক্ষণিক তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছি যেন আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

প্রতিনিধি/এসএস