জেলা প্রতিনিধি
২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
পৌষ মাসের শুরুতেই উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। কনকনে ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় গরম কাপড় কিনতে শহরের ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
দেখা যায়, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠাকুরগাঁও শহরের বড় মাঠের পূর্ব পাশের সড়ক, পুরাতন বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ফুটপাতজুড়ে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী শীতবস্ত্রের দোকান। সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, শাল ও কম্বলের নানা সংগ্রহ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। তুলনামূলক কম দামে প্রয়োজনীয় গরম কাপড় পেতে এসব দোকানে ছুটছেন খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে নিম্ন ও মধ্যবিত্তসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।
![]()
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে ঠাকুরগাঁও জেলায় দিনের তাপমাত্রা ১৪ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও রাতের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ভোর ও গভীর রাতে শীতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে।
ফুটপাতের দোকানে গরম কাপড় কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, শীত বাড়ায় পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় কিনতেই তারা এখানে আসছেন। তুলনামূলকভাবে সাধ্যের মধ্যে কাপড় পাওয়া যায় বলে ফুটপাতের দোকানই তাদের পছন্দ। তবে অনেকেই অভিযোগ করেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছু কিছু কাপড়ের দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি।
![]()
ক্রেতা সৈয়েদা আক্তার ঢাকা মেইলকে বলেন, বাজারের দোকানে দাম বেশি, তাই ফুটপাত থেকেই কিনছি। মান মোটামুটি, কিন্তু দামের কারণে বাধ্য হয়েই এখানেই আসতে হচ্ছে।
ক্রেতা মিলয় ইসলাম বাবু ও জুলফিকার আলী জানান, শীত যত বাড়ছে, ততই গরম কাপড়ের প্রয়োজন বাড়ছে। পরিবার নিয়ে শীত মোকাবেলায় ফুটপাতের দোকানই আসছেন তারা।
![]()
অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে শীতের প্রকোপ বাড়ায় ক্রেতার সংখ্যাও বাড়ছে।
শীতবস্ত্র বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি মোটামুটি ভালো হচ্ছে। সকাল থেকে রাত ১০টা–১১টা পর্যন্ত দোকানে ক্রেতার ভিড় থাকে।
![]()
আরেক বিক্রেতা মো. মনির হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, এ বছর পাইকারি বাজারে বেল্ট ও কাপড় আগের তুলনায় ১–২ হাজার টাকা বেশি দামে কিনতে হয়েছে। তাই খুচরা দাম কিছুটা বাড়তি।
পৌষের এই কনকনে শীতে ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকানই এখন ঠাকুরগাঁওয়ের নিম্ন ও মধ্যবিত্তসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য বড় ভরসাস্থল। শীত যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা। এমন পরিস্থিতিতে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের সম্মিলিত উদ্যোগই হতে পারে মানবিকতার সবচেয়ে বড় উষ্ণতা।
প্রতিনিধি/টিবি