images

সারাদেশ

গোপালনগর স্কুলকে কুমিল্লার সেরা স্কুল হিসেবে গড়ে তোলা হবে: হাসনাত

জেলা প্রতিনিধি

২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উৎসবমুখর পরিবেশে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দীর্ঘদিন পর প্রিয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একত্রিত হয়ে শিক্ষাজীবনের স্মৃতি রোমন্থনে মেতে ওঠেন বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। বাল্যবন্ধুদের পুনর্মিলনে গল্প, হাসি-ঠাট্টা, নাচ ও গানে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে পুরো অনুষ্ঠানস্থল। স্মৃতিচারণায় অনেকেই ফিরে যান কৈশোর ও তারুণ্যের সোনালি দিনগুলোতে।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ১৯৫৮ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী আবদুছ সামাদ মাস্টার বলেন, শেষ জীবনে এ ধরনের একটি আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আজকের দিনটি আমাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।

পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণ করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা, যাদের মধ্যে রয়েছেন সচিব, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে প্রয়াত ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।

সাবেক শিক্ষার্থী কাজী ইকরামুল হক, মো. আল আমীন এবং মারিয়া আক্তার মুন্নির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকৌশলী মো. রেজা-ই-রাব্বি। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।

1000472281

অনলাইনে যুক্ত হয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়কে কুমিল্লার অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, গোপালনগরের মানুষদের স্মৃতি, ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যৎ সবসময় তার চিন্তা ও ভাবনায় রয়েছে।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গোপালনগরের স্কুলকে ঘিরে এলাকাবাসীর সবারই স্বপ্ন রয়েছে। এই স্কুলকে দেবিদ্বার ও কুমিল্লার মধ্যে একটি সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন

‘নির্বাচনকে সফলভাবে সম্পন্ন করে হাদি হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেব’

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ করেন মো. রশিদ মাস্টার, মো. রুবেল ভুঁইয়া, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. সাহাব উদ্দিন, প্রকৌশলী এ কে এম জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম, অ্যাডভোকেট আমানুর রহমান খান, অধ্যক্ষ মাজহারুল হক মামুন, মো. হানিফ ভুঁইয়া, অধ্যাপক শাহ আলম সরকার, হাজি আ. সামাদ মাস্টার, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, মো. আ. কাইয়ুম, এ টি এম কাউসার হোসাইন, মো. আ. আউয়াল ভুঁইয়া এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদ খান, বুলবুল আহমেদ চৌধুরী।

প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. জাকারিয়া বলেন, দীর্ঘদিন পর বন্ধুদের একসঙ্গে পেয়ে খুব আনন্দিত। পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে যায়। কত ভালো ছিল সেই শৈশব। আবার যদি শৈশবে ফিরে যাওয়া যেত, দিনগুলো আরও ভালোভাবে কাটানো যেত।

উল্লেখ্য, ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

প্রতিনিধি/এসএস