images

সারাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ে কেজিতে রান্না করা গরুর মাংস বিক্রি, কিনতে দীর্ঘ লাইন

জেলা প্রতিনিধি

১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে রান্না করা গরুর মাংস। কেজিতে বিক্রি হচ্ছে রান্না করা মাংস। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে শহরজুড়ে গড়ে উঠেছে ১২টি দোকান। প্রতি শুক্রবার ভোর থেকেই ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইনে জমে ওঠে দোকানের সামনের দৃশ্য।

সরেজমিন শহর ঘুরে দেখা যায়, নভেম্বরের শুরুতে মাত্র একজন উদ্যোক্তা দিয়ে শুরু হওয়া এই ব্যবসা এখন শহরের জনপ্রিয় খাবারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। 

thumbnail_IMG_20251211_151619

শহরের বাসস্ট্যান্ড, গোবিন্দনগর, বিসিক মোড়সহ কয়েকটি নির্ধারিত এলাকায় বর্তমানে সপ্তাহে প্রতি শুক্রবার নিয়মিতভাবে বিক্রি হচ্ছে এই রান্না করা মাংস। আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও শত শত মানুষ ছুটে আসছেন এই মাংস কিনতে। সকাল না হতেই দোকানগুলোর সামনে লাইন পড়ে যায় ক্রেতাদের ভিড়ে।

রান্না করা মাংস নিয়ে ক্রেতাদের আগ্রহও চোখে পড়ার মতো। ক্রেতা আব্দুল আরিফ বলেন, নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী মাংস কেনা যায়—এটাই বড় সুবিধা। আর রান্নাটাও খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।

thumbnail_IMG_20251211_151547

আরেক ক্রেতা রনি জানান, ঝামেলাহীনভাবে রেডি-টু-ইট খাবার পেয়ে আমরা বেশ উপকৃত।

ক্রেতা আব্দুল মালেক বলেন, অল্প দামে পুষ্টিকর খাবার পাওয়ায় আমরা প্রতি শুক্রবারই চেষ্টা করি এখানে আসতে।

thumbnail_IMG_20251211_151627

রেজাউল করিম নামে আরেক ক্রেতার ভাষায়, ঘরের মতো স্বাদ পান, তাই মানুষের আগ্রহ বেশি।

ক্রেতা সাঈম রানা বলেন, পরিমিত দামে ভালো মানের রান্না মাংস—তাই আমরা সন্তুষ্ট।

thumbnail_IMG_20251211_151532

বিক্রেতা ও বাবুর্চিরা জানান, পরিচ্ছন্ন পরিবেশে দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করা হয় এই মাংস। প্রতিটি দোকানে প্রতি শুক্রবার বিক্রি হয় প্রায় এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকার মাংস।

আরও পড়ুন

হাঁসের মাংসের সবচেয়ে সহজ রেসিপি 

বাবুর্চি বাদল বলেন, ভোর রাতে রান্না করার পর সকালে ক্রেতাদের হাতে পৌঁছে দেই গরম মাংস। প্রচুর সাড়া পাচ্ছি।

thumbnail_IMG_20251211_151608

ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, মানুষের আগ্রহ দেখে আমরাও বাড়তি পরিশ্রম করছি। বিক্রিও ভালো।

প্রথম দিনেই দোকান দিয়ে ভালো সাড়া পেয়েছেন শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম। তার দোকানের রান্না করা মাংস ৮০০ ও ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ক্রেতারা খুবই সন্তুষ্ট। দামও সবার নাগালের মধ্যে রাখার চেষ্টা করছি। এতে আমরা যেমন লাভবান হচ্ছি তেমনি ক্রেতারাও খুশি এবং উপকৃত হচ্ছেন।

thumbnail_IMG_20251211_151520

আরেক ব্যবসায়ী মো. মহসিন আলী বলেন, অন্যদের দেখে আমরাও কয়েকজন মিলে দোকান দিয়েছি। প্রথম দিনই ভালো বিক্রি হয়েছে। সামনে আরও বিক্রি বাড়বে হবে বলে আশা করছি।

ঠাকুরগাঁওয়ে এই ব্যবসার পথিকৃত মো. তৈয়ব আলী। তিনিই প্রথম শহরের বিসিক শিল্পনগরীর পাশে রান্না করা মাংস বিক্রি শুরু করেন। তার উদ্যোগ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে বর্তমানে আরও ১০ থেকে ১২টি দোকান গড়ে উঠেছে।

thumbnail_IMG_20251211_151634

তৈয়ব আলী ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি প্রথমে ছোট করে শুরু করি। মানুষের ব্যাপক সাড়া দেখে অন্যরাও ব্যবসায় নেমেছেন। এখন প্রতি শুক্রবার প্রচুর ক্রেতা হয়।

কম ঝামেলায় প্রস্তুত খাবার পাওয়ায় শহরের ব্যস্ত মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই নতুন ব্যবসা। বিক্রেতাদের ধারণা, চলতি শীত মৌসুম জুড়ে এই চাহিদা আরও বাড়বে।

প্রতিনিধি/এসএস