জেলা প্রতিনিধি
০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৬ এএম
বছর শেষ হতে চলেছে। শীতকালিন সবজিতে খুলনার বাজার সয়লাব, তবুও দাম কমার কোনো স্বস্তিকর খবর নেই। ভরা মৌসুম হলেও সব ধরনের সবজির দামই বেশি। সেই সঙ্গে কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। আমদানির খবরেও প্রভাব পড়েনি বাজারে।
ভোক্তাদের অভিযোগ, সব সরকারই সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়। জীবন যাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়ার আহবান তাদের।
সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁপে ৪০ টাকা, কুশি ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ টাকা, বাঁধাকপি কেজি ৪০ টাকা, ফুলকপির কেজি ৪০ টাকা, ওলকপি ৫০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, শিম ৭০ টাকা, নতুন আলু ৭০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, জলপাই ৬০ টাকা, কাঁচকলা হালি ৪০ টাকা। আর পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, রসুন ৮০ টাকা, আদার কেজি ২০০ টাকা। এছাড়া গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০-৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৫০ টাকা ও ডিমের হালি ৪৪
টাকা।
তবে শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের ভিন্নতা পাওয়া গেছে। নগরীর গল্লামারী বাজারে সবজির দাম যেমন তার থেকে ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের সবজির দাম অনেকটাই বেশি। আবার নিউমার্কেট কাচাবাজাওে সবজির মূল্য ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের মত।
এদিকে যে পেঁয়াজ দুদিন আগে বিক্রি হয়েছে ১১০-১১৫ টাকায় তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়।
গল্লামারী বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা রহমান বলেন, সরবরাহ কম, তাই দাম বেড়েছে। তবে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। শিগগিরি হয়তো দাম কমে যাবে।
পাইকারি ব্যবসায়ী মো. আবুল খায়ের বলেন, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমরা চাহিদা মাফিক পণ্য পাচ্ছি না। ফলে দাম বেড়ে যাচ্ছে। নতুন পেঁয়াজ আসলে কমে যাবে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও ভরা মৌসুমে কেন দাম বেশি থাকবে। পেঁয়জের দাম কোনো ঘোষণা ছাড়াই কেজি প্রতি ৩০-৪০ টাকা বেড়ে গেল। এভাবে দাম বাড়াতে থাকলে মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে যাবে। নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের আয় বাড়েনি কিন্তু জীবিকা নির্বাহের খরচ বেড়েছে। মাঠ পর্যায়ের তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের লোক দেখানো অভিযানকে দায়ী করছেন তারা। অবিলম্বে বাজার তদারকি বাড়ানোর দাবি তাদের।
![]()
বেসরকারি এনজিওতে কাজ করেন এনামুল হক। তিনি বলেন, এভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে আমাদের মত নিম্নআয়ের মানুষ চলবে কি করে। অনেকটা অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আশা করেছিলাম বাজারে স্বস্তি ফিরবে। কিন্তু সিন্ডিকেটের কাছে মনে হচ্ছে সরকার অসহায়।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব বলেন, পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ইতোমধ্যে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। দ্রুতই দাম কমে যাবে।
প্রতিনিধি/টিবি