জেলা প্রতিনিধি
০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম
যশোরের মণিরামপুরে মৃত্যুর প্রায় আড়াই মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। উপজেলার নেহালপুর গ্রামের বাবা মজিদ দফাদারকে (৬৫) হত্যার অভিযোগে ছেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহরাবের নামে মামলায় হওয়ায়, আদালতের নির্দেশে এ লাশ উত্তোলন করা হয়। বৃদ্ধের জামাই সাত্তার মোল্যা শ্যালক সোহরাব দফাদারের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা করেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমানের উপস্থিতিতে ময়না তদন্তের জন্য এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে বাবা মজিদ দফাদারের সঙ্গে ছেলে সোহরাব দফাদারের বিরোধ চলছিল। বোনকে ফাঁকি দিয়ে নিজের নামে জমি লিখে দিতে বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে। এতে রাজি না হওয়ায় ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাবাকে মারপিট করে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে ছেলে সোহরাব। এক পর্যায় বাবার মৃত্যু হলে তড়িঘড়ি করে পরদিন ভোরে দাফন করা হয়। এতে স্থানীয়সহ স্বজনদের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
পরে সোহরাবের আপন ভগ্নিপতি পার্শ্ববর্তী খাকুন্দি গ্রামের সাত্তার মোল্যা ২৯ সেপ্টেম্বর হত্যার অভিযোগে সোহরাবের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। গত ১১ নভেম্বর মণিরামপুর থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। লাশ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্থানীয় নেহালপুর ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান বলেন, লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর আড়াইশ’ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় গেল মাসে ছেলে সোহরাবকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।
প্রতিনিধি/এসএস