জেলা প্রতিনিধি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩১ এএম
হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় পঞ্চগড়ে উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসে কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। এ জেলায় গতকাল থেকে আজকে ১ দশনিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। বিগত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১২ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। আজকে তা কমে ১০ ডিগ্রির নেমে গেছে। সেকারণেই বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় জবুথবু তেঁতুলিয়ার মানুষ।
শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে সকাল ৬টায় ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৪ শতাংশ ছিল।
এদিকে, পঞ্চগড়ের আশপাশের জেলায় কয়েক দিন থেকে হিমালয়ের হিমেল বাতাসে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। তীব্র ঠান্ডার কারণে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছেন। প্রায় ঘরে ঘরে লেপ-কাঁথা বের করেছেন। তবে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। দিনের বেলা রোদের দেখা মিললেও কমেনি শীতের তীব্রতা। সারাদিন ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকে আর শেষ বিকেলে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়। এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলেও এখনও সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলাটি হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর- পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে বেশ কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। আজ সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।
প্রতিনিধি/টিবি