হিমেল বাতাসের প্রভাবে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বেড়েছে শীত। হিমালয় পর্বতের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় গত কয়েক দিন ধরে ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। আজও এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে রয়েছে। এছাড়া শীত কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর ) সকাল ৯টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯২ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বইছে হিমেল বাতাস, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে
সকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায়।
সকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায়।
আরও পড়ুন: হিমেল বাতাসের প্রভাবে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির ঘরে
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানান, এ অঞ্চলে এখন সন্ধ্যা ও রাতেই বেশি ঠান্ডা লাগছে। ভোরে সূর্য উঠে যাওয়ায় রোদে কমতে থাকে শীতের মাত্রা। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকছে। এরপরে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। এ হিমেল হাওয়ায় সন্ধ্যা থেকে ঠান্ডা লাগে।
এ অঞ্চলে শীতার্তরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছেন না। ফলে আয় কমেছে তাদের। এসব কারণে এ জেলার শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে এখন অসহনীয় দুর্ভোগে। শীতের একেকটি রাত যেন তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন।
অপরদিকে কয়েক দিন ধরে টানা ঠান্ডার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রায়ই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
এছাড়া তাপমাত্রা কমায় ব্যস্ততা বেড়েছে জেলার লেপ-তোশকের দোকানে। পাশাপাশি বিভিন্ন গরম কাপড়ের দোকানেও বিক্রি বেড়েছে। শীতের পিঠাপুলি তৈরির ধুমও পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়।
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯২ শতাংশ। হিমালয় সংলগ্ন এলাকায় এ উপজেলাটির অবস্থান হওয়ায় এখানে অন্যান্য এলাকা থেকে শীত আগে নামে। এ সময়টাতে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
প্রতিনিধি/ এমইউ

