জেলা প্রতিনিধি
০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৭ এএম
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক সবুজ মিয়ার মরদেহ প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর দেশে ফেরত এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে নাজিরগোমানী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৮৬৮/৩-এস এর কাছে দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
বিজিবি–৬১ তিস্তা ব্যাটালিয়নের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাত ৮টা ৩০ মিনিট থেকে ৮টা ৫০ মিনিটের মধ্যে ভারতীয় পুলিশ মরদেহটি বাংলাদেশি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে নিহত সবুজ মিয়ার বড় ভাই আরিফ হাসানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় পাটগ্রাম থানা পুলিশের কর্মকর্তাসহ নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, ভোরে পাটগ্রাম উপজেলার শমশেরনগর সীমান্তের ৮৬৪/৫ নম্বর মূল সীমানা পিলারের কাছে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক ভারতীয় দালালদের সহায়তায় গরু আনার উদ্দেশে শূন্যরেখার কাছাকাছি পৌঁছালে চেনাকাটা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান পঁচাভান্ডার গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ৩০ বছর বয়সী সবুজ মিয়া। গুলির শব্দে অন্যরা পালিয়ে প্রাণে বাঁচে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সীমান্তে প্রায়ই এ ধরনের গুলি বর্ষণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর বিজিবি কর্তৃপক্ষ দ্রুতই বিএসএফকে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায়। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং মরদেহ দ্রুত ফেরত আনার লক্ষ্যে সারাদিন দুই বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ চলতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় রাতে মরদেহ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করা হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মরদেহ ফেরতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
প্রতিনিধি/এমআই