জেলা প্রতিনিধি
২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুরে গতকাল (২৫ অক্টোবর) শনিবারের সংঘর্ষে নিহত মো. নাসির উদ্দিনের লাশ দাফনে বাধা এবং গ্রামের ঘরবাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ (২৬ অক্টোবর) রোববার সকালে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আবারও কিছু ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে।
এদিকে, নাসির উদ্দিন হত্যা ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। গ্রামে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা।

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুনুর রশিদ ও ব্যবসায়ী সাচ্চু মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজনের সংঘর্ষে শনিবার সকালে নিহত হন সাবুদ আলীর গোষ্ঠীর মো. নাসির উদ্দিন। এ ঘটনায় আহত হয় আরও ৪০ জন।
স্থানীয়রা জানান, আজ রোববার সকালে গ্রামের কবরস্থানে নিহত নাসির উদ্দিনের মরদেহ দাফনে কবর খননের সময় বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একদফা সংঘর্ষ হয়। নাসির উদ্দিনের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, বৃদ্ধ নাসিরের লাশ দাফন ও জানাজা করতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান হারুনের পক্ষের লোকজন।
রোববার দুপুরে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, মরদেহ ফ্রিজিং গাড়িতে রেখে স্বজনরা অপেক্ষা করছেন। নিহত নাসিরের ভাতিজা খায়েশ মিয়া জানান, আজ সকালে আমাদের বাড়ি তিনদিক থেকে ঘেরাও করে ঝগড়া করতে আসে। তারা বলছে, লাশ কীভাবে দাফন করি তাদের দেখার আছে। এই মার্ডার মার্ডার না, আরও মার্ডার করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। বলছে, এক কবরে ২-৩ জনকে কবর দেবে। লাশ কখন দাফন করব তা ঠিক করতে দিচ্ছে না।

এদিকে, গ্রামটিতে গত ৩ দিন ধরে ঘরবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ নৈরাজ্য অব্যাহত রয়েছে।
গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে গ্রামের মৃত আবদুল হাসিম মিয়ার স্ত্রী, শত বছর বয়সি মোসাম্মৎ বেগমের মৃত্যুর পর তার ছোট ছেলে নূরুল হককে লাশ দেখতে না দিয়ে গ্রামের গোষ্ঠী বিবাদে হারুনের পক্ষে থাকা ৪ ছেলে তড়িঘড়ি মায়ের লাশ দাফন করে ফেলে। এরপরই অন্য ২ ছেলে জহিরুল হক ও নূরুল হকের পক্ষ নিয়ে অপরপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। গত কয়েক মাস আগে লুডু খেলায় বাজির ২০০ টাকা নিয়ে এ দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) অমিতাভ দাস তালুকদার জানান, আজ সকালে আবারও দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
প্রতিনিধি/এসএস