বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
৩১ আগস্ট ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদকে ঘিরে দিনব্যাপী ক্যাম্পাসে ছিল অস্থিতিশীল পরিবেশ। প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের রাকসু নির্বাচনে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিতে দিনব্যাপী বিক্ষোভ করেন রাবি শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় নির্বাচন কমিশনে তালা দিয়ে প্রধান ফটক অবরোধ করে আন্দোলন করেন তারা। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিকালে এমন পরিস্থিতিতে এক জরুরি মতবিনিময় সভার আয়োজন করে রাকসু নির্বাচন কমিশন।
মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। তবে কিছুক্ষণ পরে ছাত্রমিশন সভাপতি জিএ সাব্বির মতবিনিময় সভায় কথা বলার সময় হামলাকারী বলে পেছন থেকে চিল্লাতে থাকেন বাম নেতারা। পরে ব্যাপক হট্টগোল শুরু হলে ছাত্রদল ও বাম নেতাকর্মীরা সিনেট ভবন ছেড়ে বেরিয়ে যায়।
![]()
বাইরে দাঁড়িয়ে ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, আমরা রাকসু নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এ মতবিনিময় সভা বয়কট করেছি। আমরা প্রশাসনের ডাকে এখানে এসেছিলাম, কিন্তু এসে দেখি রাকসু নির্বাচন কমিশন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় কথা বলার সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাকসু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই আজকে ছাত্রদলের ওপর হামলা করেছে। তাই আমরা পাকিস্তানি প্রশাসনের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীবের মতবিনিময় সভায় থাকব না।
তিনি আরও বলেন, শুধু আমরা একা মতবিনিময় সভা বর্জন করিনি। আমাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুসুলভ সংগঠন ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীরাও এ কমিশনের মতবিনিময় সভা বয়কট করেছে। আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই এমন সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে রাকসুর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল আখন্দ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে আজকের মতবিনিময় সভায় আহ্বান করেছি। এখন কেউ যদি আমাদের মতবিনিময় সভা বয়কট করে সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
প্রতিনিধি/এসএস