চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল।
রোববার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রোকেয়া হল সংলগ্ন যাত্রী ছাউনির সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিজ্ঞাপন
বিক্ষোভ মিছিল থেকে তারা চবিতে হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দাও, ভাইয়ের উপর হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দাও, ক্যাম্পাসে রক্ত জড়েছে, ইন্টেরিম কি করে, চবিতে রক্ত ঝড়ে, ইন্টেরিম কি করে—সহ নানা স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মুখরিত করে তোলে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদল ঢাবি শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ৮ আগস্ট সর্বজনীনভাবে গৃহীত একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। একটি সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সেই সরকারকে বাংলাদেশের সকল মানুষ সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে উঠেছে মবের আস্তানা।
তিনি বলেন, যে প্রশাসন নিয়োগ করেছে তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারেনি। যদি যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হতো, তাহলে আজকে চবি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষার্থীকে দারোয়ানের হাতে লাঞ্চনার শিকার হতে হতো না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তার দায়িত্বশীল আচরণ পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। পুলিশ স্টেশনগুলোতে ঘুরে ঘুরে মিষ্টি বিতরণ করা তার কাজ নয়; বরং তাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া তার কাজ। তার এসব কাজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাস্যরস সৃষ্টি করছে।
বিজ্ঞাপন
সাহস বলেন, গতকাল থেকে শুরু হয়ে আজকেও চলমান হামলায় আহত হওয়া সকল ভাই-বোনের দায়িত্ব ইন্টেরিম সরকারকে নিতে হবে। ইন্টেরিম সরকার যদি মন থেকে আমার ভাই-বোনদের সঙ্গে দাঁড়াতো, তাহলে আজকে স্থানীয়রা এই হামলার সাহস পেতো না।
এ সময় তিনি অতিদ্রুত হামলার সঙ্গে জড়িত সকলকে বিচার ব্যবস্থার আওতায় আনার আহ্বান জানান এবং অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
ছাত্রদল ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে চবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ছাত্রদলের মনে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। যারা খুনী হাসিনার পতন ঘটিয়েছিল, আজ তাদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, গতকাল রাতে একজন চবি নারী শিক্ষার্থী বাসায় দেরি করে ঢুকার কারণে একজন দারোয়ান তার গায়ে হাত তুলেছিল। প্রতিবাদ জানানোর জন্য আমার ভাই সেখানে গেলে তাদেরকে গতকাল রাত থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত হামলার শিকার হতে হচ্ছে। ইন্টেরিম সরকার প্রশাসনের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত এই হামলা ঠেকাতে পারেনি।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম বলেন, ৫ আগস্টের পূর্বেও মার খেয়েছি, পরবর্তী সময়ে এসেও মার খেয়েছি। ঢাবি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা আছি। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, দায়িত্ব পালন করুন, ব্যর্থ হলে তা আমাদের জানান। জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুত সরকার নিশ্চিত করুন।
এআর

