জেলা প্রতিনিধি
০৭ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় গোপন একটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৩৫ দশমিক ৭৫ মেট্রিক টন অবৈধভাবে মজুদকৃত সার জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলা এ অভিযানে ৭১৫ বস্তা সার জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য আট লাখ ৬০ হাজার ২৫০ টাকা।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরের ভাসমান পেয়ারা বাজার দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত
অভিযানটি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহেরী ইউনিয়নের ঠুমনিয়া পাগলা বাজার এলাকার মো. করিম উদ্দিন আপনের (৩২) মালিকানাধীন একটি গোপন গোডাউনে পরিচালিত হয়। তিনি লাহিড়ী বাজারের সার ব্যবসায়ী মো. শাজাহানের ভাই।
এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী, শাজাহানের মালিকানাধীন চারটি সারের লাইসেন্স থাকলেও এসব সার গোপনে তার ভাই করিম উদ্দিন আপনের গোডাউনে মজুদ করা হয়েছিল।
অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মফিজুর রহমান। সঙ্গে ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন সোহেল, পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
জব্দ করা সারগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪১৫ বস্তা ইউরিয়া সার (বাজারমূল্য ৫,৬০,২৫০ টাকা) এবং ৩০০ বস্তা এমওপি সার (বাজারমূল্য ৩,০০,০০০ টাকা)। সব মিলিয়ে জব্দকৃত সারের ওজন ৩৫ দশমিক ৭৫ মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন: মুকুলের খেতে সাফল্যের সুবাস
অভিযান শেষে গোডাউনটি সিলগালা করা হয় এবং করিম উদ্দিন আপনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ ও সারের নিয়ন্ত্রিত বিতরণ সংক্রান্ত বিধিমালা অনুযায়ী ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ইউএনও মফিজুর রহমান বলেন, “কৃষি খাতে যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমরা নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছি। কেউ অবৈধভাবে সার মজুদ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই অভিযান তারই অংশ।”
তিনি আরও জানান, জব্দকৃত সার প্রশাসনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ন্যায্যমূল্যে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে বিক্রি করা হবে এবং বিক্রির অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাজেদুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, “বর্তমানে কৃষি মৌসুম চলমান থাকায় সারের চাহিদা অনেক বেশি। এ সময় মজুদদারদের কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”
প্রতিনিধি/ এমইউ