জেলা প্রতিনিধি
২৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপে বৃষ্টির প্রভাবে প্রবল জোয়ারে দক্ষিণাঞ্চলের সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে অস্বাভাবিক জোয়ারে নদী তীরবর্তী জনপদ প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে পানিতে তলিয়ে গেছে নগরীর সদর রোডসহ গুরুত্বপূর্ণ একাধিক সড়কসহ নিম্নাঞ্চল। ফলে নগরীঘেঁষা কীর্তনখোলা নদীতীরের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের বসতঘর, রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে এসব এলাকার বাসিন্দারা।
বরিশালে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত থেকে শুক্রবার দিনভর থেমে থেমে ভারি বর্ষণ হয়েছে। ছুটির দিন হওয়ায় বাসিন্দারা ঘরে বন্দি থেকেছে। জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাইরে বের হয়নি। তবে দুর্ভোগে ছিল কর্মজীবীরা। শুক্রবার বেলা ১২টার পর বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাস শুরু হয়। টানা বৃষ্টি ও উঁচু হয়ে আসা জোয়ারের পানিতে বরিশাল নগরীর জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক সদর রোড, বটতলা, প্যারারা রোড, সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়ক, ধান গবেষণা রোড, বগুড়া রোড, বৈদ্ম্যপাড়া, সাগরদীর একাধিক সড়ক, রূপাতলী হাউজিং, আমানতগঞ্জ, কাউনিয়া ও ভাটিখানার কিছু সড়কসহ অসংখ্য সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়।
এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল ছাড়াও নগরীর পলাশপুর, রসুলপুর, মোহাম্মদপুরসহ নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের বসতঘরে পানি উঠে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে তারা। এছাড়াও বরিশাল সদর উপজেলার একাধিক নদীতীরবর্তী জনপদ প্লাবিত হয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী তাইজুল ইসলাম বিকেল ৫টায় বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিকেল ৩টার পর বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নগরীঘেষা কীর্তনখোলায় বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ভাটা শুরু হলে নগরীর বসতবাড়ি থেকে পানি নেমে যেতে পারে বলে জানান তিনি।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মিলন হাওলাদার জানান, বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে। এটাই ছিল দিনের সর্বোচ্চ গতিবেগ। বিকেল ৩টার আগের ২৪ ঘণ্টায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়। এমন আবহাওয়া আরও দুইতিন দিন থাকতে পারে।
বরিশাল নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এবং বন্দর ও পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেন বলেন, সমুদ্রে তিন নম্বর সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। তাছাড়া বাতাসের তীব্র গতিবেগ রয়েছে। তাই ছোট লঞ্চ চলাচলের ক্ষেত্রে মানতে হবে নির্দেশনা। আর ভোলা-ইলিশা রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
প্রতিনিধি/এসএস