জেলা প্রতিনিধি
২৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মারমাকে বিদায় জানাতে বান্দরবান থেকে ছুটে এসেছিলেন তার প্রিয় বন্ধুরা। কেউ তার সহপাঠী, কেউ কোচিংয়ের সাথী—তাদের চোখে এখনও জ্বলজ্বল করছে উক্যছাইংয়ের সরলতা, বন্ধুত্ব আর স্বপ্নের স্মৃতি।
বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার জামিল সাফোয়ান, ছাইশৈ ওয়ং মারমা, রায়ান বড়ুয়া, জায়েদ ইবনে আশরাফ ও সিলভার্ড বম—উক্যছাইংয়ের সেই স্কুলজীবনের সহপাঠীরা। তারা জানান, নার্সারি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত একসাথে পড়ালেখা করেছেন।
![]()
‘সে খুব ভালো গিটার বাজাতে পারত, ছিল ভদ্র ও নম্র। কোনো শিক্ষককে কখনও অসম্মান করেনি। তার ব্যবহার ছিল আমাদের সবার কাছে অনুকরণীয়’,—এভাবে স্মৃতিচারণ করেন সাফোয়ান।
![]()
উক্যছাইংয়ের স্বপ্ন ছিল আর্মি অফিসার হওয়া। সেই স্বপ্ন পূরণের আশায় ভর্তি হয়েছিল চট্টগ্রামের শহীদ ক্যাডেট একাডেমিতে। কিন্তু ক্যাডেট কলেজে ভর্তি না হওয়ায় পরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি হয়। বন্ধুদের অনেকেই তাকে অনুরোধ করেছিল আবার বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে ফিরে আসতে, কিন্তু সে দৃঢ় ছিল তার সিদ্ধান্তে—ভর্তি হয়েছিল ঢাকাতেই। সাফোয়ান বলেন, ‘আজ আমরা গভীর শোকে নিঃস্ব। আমরা একজন নিঃস্বার্থ, সৎ এবং প্রিয় বন্ধুকে হারালাম’।
![]()
উক্যছাইংয়ের আরেক ক্লাসমেট মংটিং তো মারমা এসেছিলেন বান্দরবান থেকে রাঙামাটির বাঙ্গালহালিয়ায়, প্রিয় বন্ধুকে শেষ বিদায় জানাতে। তিনি বলেন, ‘ক্লাস ওয়ান থেকে সিক্স পর্যন্ত একসাথে পড়েছি। পরে ক্যাডেট কলেজে ভর্তির আশায় আমরা দু’জনই শহীদ ক্যাডেট কোচিং সেন্টারে ভর্তি হই। আমি থেকে যাই, আর উক্যছাইং ঢাকার মাইলস্টোনে চলে যায়’।
![]()
মংটিং তো মারমা আরও বলেন, ‘ওর সঙ্গে কত স্মৃতি—সব এখন চোখে ভাসে। তার হঠাৎ এভাবে চলে যাওয়া আমাদের কারোরই মেনে নিতে পারছি না। সে যেখানেই থাকুক, সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে শান্তিতে রাখে’।
প্রতিনিধি/এসএস