images

সারাদেশ

‘ট্রাডিশনাল মাদক থেকে অত্যাধুনিক মাদকের জগতে প্রবেশ করছে সেবীরা’

জেলা প্রতিনিধি

১৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:২১ পিএম

বরিশাল বিভাগীয় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ড বলেন, বর্তমানে ট্রাডিশনাল মাদক থেকে শক্তিশালী অত্যাধুনিক সিন্থেটিক মাদকের দিকে ঝুঁকছে এর সেবীরা। এর ফলে এসব ড্রাগ ব্যবহারের কারণে অন্তত ৭০ ভাগ মাদকসেবীর চিকিৎসা নিয়েও সম্পূর্ণভাবে মাদক থেকে মুক্তি ঘটছে না।

শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে নগরীর একটি হোটেলে স্থানীয় মাদক নিরাময় কেন্দ্র ‘নিউ লাইফ মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ‘ ও ‘জাগো নারী ‘ আয়োজিত ‘মাদক নির্মূলে চিকিৎসা ও সাংবাদিকদের করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক’ এ কথা বলেন তিনি।

পরিতোষ কুন্ডু আরও বলেন, বরিশাল ও পটুয়াখালীতে ফরেন লিকার ও কান্ট্রি লিকার (মদ) এর তিনটি বার ও চারটি লাইসেন্স বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। পারমিট নিয়ে, প্রায় ১  হাজার ৬০০ জন এই লিকারের সেবী রয়েছে। তবে পারমিট ছাড়াও ভোক্তার সংখ্যা অনেক বেশি। অন্যদিকে অত্যাধুনিক বিশেষ করে ইয়াবা মিশ্রিত আইসের ব্যবহার বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কি পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে তার কোনো জরিপ এখন পর্যন্ত নেই।

পরিতোষ আরও বলেন, গত এক বছর আগেও প্রতি মাসে ৫০/৭০টি ইয়াবা সংক্রান্ত মামলা হলেও এখন প্রতিমাসে দেড় শতাধিক মামলা হচ্ছে। অভিযানের সংখ্যাও এক বছর আগের চেয়ে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি হচ্ছে। এখন প্রতিমাসে অন্তত ৪ শতাধিক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। মামলার অধিকাংশই ইয়াবা উদ্ধারের। কোনো কোনো জায়গায় আইস উদ্ধারের ঘটনা রয়েছে।

আরও পড়ুন

নেত্রকোনায় ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

পরিতোষ বলেন, আগের ট্রাডিশনাল মাদক, গাজা, মদ বেশি ছিল। এসব মাদক এড়াতে চিকিৎসা গ্রহণ করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাময় ঘটে। কিন্তু বর্তমান সময়ের শক্তিশালী, ইয়াবা, আইসসহ অন্যান্য মাদক ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিরাময় ঘটছে না। অন্তত ৭০ ভাগ মাদকসেবীকে ঘুরে ফিরে আবার চিকিৎসা কেন্দ্রে আসতে হচ্ছে। বারবার মাদক নিরাময় কেন্দ্রে আসার ঘটনা বেড়ে গেছে।

বৈঠকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা ছাড়াও, বিভিন্ন পেশাজীবী, সাংবাদিক ও মাদক নিরাময়ের সাথে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় আরও বক্তব্য দেন, বরিশাল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক তানভীর হোসেন খান, সিনিয়র সাংবাদিক অরূপ তালুকদার, গোপাল সরকার, সুশান্ত ঘোষ, আক্তার ফারুক শাহীন, এনজিও ব্যক্তিত্ব হাসিনা নীলা, নাট্য ব্যক্তিত্ব সৈয়দ দুলাল প্রমুখ।

সভায় বক্তারা, মাদকের ভয়াবহ বিস্তার রোধ করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে ঢেলে সাজানো বস্তিতে মাদক নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যক্রম পরিচালনা করা, বিভিন্ন পরিবহনে নিয়োজিত, ড্রাইভার সুপারভাইজারদের নিয়মিত ডোপ টেস্ট করাসহ বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন।

প্রতিনিধি/এসএস