আবাসিক হোটেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অবরুদ্ধ, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে উদ্ধার

বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় আবাসিক হোটেলের কর্মচারীরা পালিয়ে গেলে সেখান থেকে ১০ নারী ও দুই জন পুরুষকে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে আবাসিক হোটেলটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়া শহরতলীর বারপুর এলাকায় ড্রীম প্যালেস নামের এক আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ পেয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেখানে পৌঁছে। অভিযানের খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে ভিড় জমায় এবং হোটেল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায় কয়েক শতাধিক লোকজন সেখানে অবস্থান নিয়ে ভ্রাম্যামাণ আদালতকে অবরুদ্ধ করে ফেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার স্বার্থে হোটেলের ভিতর আশ্রয় নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে যেতে থাকলে সেনাবাহিনী সদস্য এবং অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে পৌঁছে লোকজনকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে হোটেল থেকে ১০ জন নারী ও দুইজন পুরুষকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাশির বলেন, হোটেলের কর্মকর্তা কর্মচারীরা পালিয়ে গেছে। অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ সেখান থেকে ১০ নারী দুইজন পুরুষকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রতিনিধি/টিবি