জেলা প্রতিনিধি
১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
রাজশাহীতে ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে এক সিএনজিচালক আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে জেলার পবা উপজেলার নওহাটা কলেজ মোড় এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে তিনি আত্মহত্যা করেন।
আরএমপির পবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সিএনজি চালকের নাম মো. শামসুদ্দিন (৩২)। তিনি জেলার তানোর উপজেলার তালন্দ সামাসপুর গ্রামের মৃত এমাদ উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে। রাজশাহী-ফ (১১-০১৪৩) নম্বরের সিএনজি চালাতেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে নওহাটা কলেজ মোড়ের কাছে ছাত্রাবাসে কক্ষে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পবা থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তার লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিলা খাতুন বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। শামসুদ্দিন ঋণের চাপে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী শিলা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ব্যবসা ও সংসারের খরচ মেটাতে গিয়ে আমার স্বামী অনেক ঋণের বোঝায় পড়ে যায়। ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে এসেছি। এখানে তাকে একটি সিএনজি কিনে দিয়েছি। সংসার চালানোর জন্য আমিও টেক্সটাইল মিলে কাজ করি। এই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে বাপের একটি জমি বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছি। এত কিছু করার পরেও সে আত্মহত্যা করেছে। এটা আমি মেনে নিতে পারছি না।
নওহাটার একাধিক সিএনজি চালক জানান, শামসুদ্দিন সবসময় চিন্তায় থাকতেন। দিনে দিনে ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। সরকারের কাছে শামসুদ্দিনের পরিবারের জন্য সহায়তার দাবি জানান তারা।
পবা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘরটি ভেতর থেকে আটকানো ছিল। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুইটি বিষের বোতল এবং একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ঋণের চাপেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
প্রতিনিধি/এসএস