জেলা প্রতিনিধি
১৪ জুলাই ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
নোয়াখালীতে রাতভর বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা জনদুর্ভোগে রূপান্তরিত হয়েছে।
রোববার (১৩ জুলাই) দিনভর থেমে থেমে হালকা বৃষ্টিপাত হলেও সেটি রাতে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতে রূপ নেয়। এর ফলে গত কয়েকদিন জলাবদ্ধ এলাকাগুলোতে আবারও পানি বেড়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যা আতঙ্কে আছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে মাইজদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মাইজদী কোর্ট অফিসে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
জানা গেছে, গত তিনদিনে পৌর এলাকায়সহ বিভিন্ন উঁচু এলাকা থেকে পানি কিছুটা নেমে গেলেও বৃষ্টিতে ফের ওই এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আর গ্রামাঞ্চলের জলাবদ্ধ এলাকাগুলোতে বাড়ছে পানি। জেলায় এখনও পানিবন্দি প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ ও বেগমগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ বেশিরভাগ সড়ক এখনও কয়েক ফুট পানিতে নিমজ্জিত। অধিকাংশ বাড়ির আঙ্গিনায় হাঁটু পরিমাণ বা কোথাও তারও বেশি পানি রয়েছে। গত সোমবার থেকে পানিবন্দি আছেন এসব এলাকার মানুষ। দীর্ঘ সময় ধরে এই জলাবদ্ধতা এখন জনদুর্ভোগে রূপ নিয়েছে। অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে আছেন মানুষজন। খাল ও ড্রেনগুলো দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না নামায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘ হওয়ার শঙ্কা করছেন লোকজন।
এদিকে, রোববার দিনব্যাপী জলাবদ্ধতা নিরসনে ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দ্রুত করতে সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের মুন্সীতালুক থেকে চর মটুয়া ইউনিয়নের উদয় সাধুর হাট পর্যন্ত খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহনেওয়াজ তানভীর। এ কার্যক্রমে খালের বাকি অংশে উচ্ছেদ সোমবার সকাল থেকে আবারও শুরু হয়েছে বলে জানান সহকারী কমিশনার।
![]()
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ জানান, অতিবৃষ্টি ও চলমান জলাবদ্ধতায় জেলার ৫৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৯০ হাজারের বেশি লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও বিভিন্ন এলাকার ২৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে শতাধিক গৃহপালিত পশুসহ আশ্রিত আছে ১ হাজারের বেশি মানুষ। জলাবদ্ধতায় অর্ধশতাধিক বাড়ি ঘর, সাড়ে ৭ হাজার একর ফসলি জমি, প্রায় ৯ হাজার গবাদি পশু ও ৪০ হাজার মাছের খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।
প্রতিনিধি/টিবি