জেলা প্রতিনিধি
০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
লঘুচাপের প্রভাবে বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে লামা উপজেলার মিরিঞ্জা এলাকায় সড়কে পাহাড় ধসে মাটি জমে যাওয়ায় সাময়িকভাবে লামা-আলীকদম ও মিরিঞ্জা পর্যটন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থল তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করে লামা উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দফতর দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ায় কয়েক ঘণ্টা পরই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বান্দরবান আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত) জেলায় ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টাতেও ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় জেলাজুড়ে পাহাড় ধসের ঝুঁকি বেড়েছে।
পাহাড় ধসের আশঙ্কায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। টানা বর্ষণে সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলার সাতটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সড়ক যেমন: লামা-আলীকদম, রুমা, থানচি, সূয়ালক, রোয়াংছড়ি-রুমা, থানচি-আলীকদম সড়কে ছোটখাটো পাহাড় ধসের কারণে সড়কে কাদা জমে পিচ্ছিল ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
রুমা উপজেলার সদর ইউনিয়নের আশ্রমপাড়া এলাকায় গভীর রাতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বান্দরবান আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল জানান, বৃষ্টিপাত আরও দু’একদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তিনি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, জেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় ইতোমধ্যে সাতটি উপজেলার ইউএনওদের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করা হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটলেও সংশ্লিষ্ট দফতর সংস্কারকাজে নিয়োজিত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রতিনিধি/এসএস