জেলা প্রতিনিধি
০৭ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
বান্দরবান সদর উপজেলার বাঘমারা বাজারে টোল আদায়ের নামে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফ চৌধুরী ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে বাঘমারা এলাকার ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনসাধারণের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়।
![]()
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা বাজারে ২৫-৩০ কেজি পর্যন্ত মালামাল বিনা ট্যাক্সে আনা-নেওয়া করতে পারলেও সম্প্রতি টোল আদায়ের নামে বেপরোয়া হারে অর্থ আদায় শুরু হয়েছে। তারা দাবি করেন, বাজার ইজারা নিয়ে সাধারণ পণ্যবাহী যানবাহন—যেগুলো বাজারে মালামাল বিক্রয়ের জন্য নয়—সেগুলো থেকেও অতিরিক্ত হারে টোল আদায় করা হচ্ছে। এমনকি ছোট পরিবহন থেকেও টোলের নামে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হচ্ছে, যা অনৈতিক, অবৈধ এবং সাধারণ ব্যবসায়ী ও জনগণের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
বক্তারা আরও বলেন, যদি বাজার ইজারা প্রদান করা হয়, তবে শুধু বাজারে বিক্রি করা পণ্য থেকেই টোল আদায় করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে বাজার এলাকায় প্রবেশকারী সব যানবাহন থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাঘমারা বাজারের ব্যবসায়ী মো. আবুল কাশেম বলেন, আমরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই মহোদয়ের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, অতিরিক্ত বা অনিয়মিত টোল আদায় বন্ধ করা হবে এবং আগের নিয়মেই ট্যাক্স আদায় হবে।
![]()
মানববন্ধনে বাঘমারা এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ, ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেন।
যুবদল নেতা আরিফ চৌধুরীর বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন না ধরার কারণে বক্তব্য জানা যায়নি।
এ বিষয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই বলেন, নিয়মের বাইরে টোল ট্যাক্স তোলার বিষয়টি শুনেছি। জেলা পরিষদ থেকে যে ইজারা দেওয়া হয়েছে। সেটি শুধু বাজার ফান্ডের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকবে। বাজার ফান্ডের বাইরে যেসব সড়ক পথ রয়েছে সেটা তোলার কোনো নিয়ম নেই। ঘটনা শোনার পর আমরা ইজারা বাতিল করে সেই আগের নিয়মে করে দিয়েছি।
প্রতিনিধি/এসএস