জেলা প্রতিনিধি
২২ জুন ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম
যুবলীগ নেতা, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মতিন সরকারকে আদালতে হাজির করার সময় তাকে মারধর এবং ডিম নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ জনগণ।
এ সময় মতিনের শ্যালক ও তার এক সহযোগীকে আদালত চত্বরে গণধোলাই দেওয়া হয় পরে পুলিশ মতিনের শ্যালক মিল্লাত হোসেনকে হেফাজতে নিয়েছেন।
রোববার (২২ জুন) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে হামলার ঘটনা ঘটে।
গত শনিবার রাতে মতিন সরকারকে বগুড়ার ডিবি পুলিশ ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার বসিলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। মতিন সরকারের নামে ১০ বছরের সাজা গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ঘটনায় ১০টি মামলা রয়েছে।
![]()
রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কড়া পুলিশি প্রহরায় মতিন সরকারকে আদালতে হাজির করার জন্য নিয়ে আসা হয়। পুলিশের গাড়ি থেকে নামানোর সঙ্গে সঙ্গে একদল বিক্ষুব্ধ জনগণ ডিম নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশ তাড়াহুড়ো আদালতের দিকে নিয়ে যেতে থাকে পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যেই হামলা করে কিল ঘুসি ও লাথি মারা হয় মতিন সরকারকে। এ সময় মতিনের এক সহযোগী রুমপ হামলার দৃশ্য ভিডিও করাকাল বিক্ষুব্ধ লোকজন তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। রুমপ দৌড়ে আদালতের নিচে নেমে পালিয়ে যায়। এ সময় আদালত চত্বরে মতিন সরকারের শ্যালক মিল্লাত হোসেনকে দেখে লোকজন তার ওপর হামলা করে। তাকে মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে লোকজন। এক পর্যায়ে তার পড়নের লুঙ্গি ও শার্ট ছিড়ে ফেলা হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যান।
বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ইকবাল বাহার বলেন, আমরা কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়েই তাকে আদালতে নিয়ে যাই। আগে থেকেই আদালত চত্বরে বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিল। তারা আকস্মিকভাবে ডিম নিক্ষেপ করে। আমরা দ্রুত মতিন সরকারকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এ হাজির করি। ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে মতিন সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একটি হত্যা মামলায় সাত দিনের আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান শুনানি শেষে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে পুলিশ প্রহরায় মতিন সরকারকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, আদালত চত্বরে মতিন সরকারের শ্যালক পরিচয় পেয়ে একজনকে মারধর করছিল কিছু জনগণ।আমরা তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে এসেছি। তার নামে মামলা আছে কি না যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস