images

সারাদেশ

বান্দরবানে ২১ কিলোমিটার হিল ম্যারাথন অনুষ্ঠিত

জেলা প্রতিনিধি

২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৯ এএম

বান্দরবানে অনুষ্ঠিত হলো প্রথমবারে মতো ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ হিল ম্যারাথন।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় রাজার মাঠ থেকে শুরু হয়ে সুয়ালক আনসার ক্যাম্প পর্যন্ত গিয়ে আবার রাজার মাঠে ফিরে এই ম্যারাথন সকাল ১০টায় শেষ হয়।

বান্দরবান স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ও বান্দরবান হিল রার্নাস এর যৌথ আয়োজনে এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ, বান্দরবান সেনা রিজিয়ন, সদর সেনা জোন ও জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এই প্রথম বারের মতো হিল ম্যারাথন অনুষ্টিত হয়। সকালে এই হিল ম্যারাথন উদ্বোধন করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট উবাথোয়াই মারমা। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ৩০০ জন প্রতিযোগী। বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়ক ধরে রাজার মাঠ থেকে সুয়ালক পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন তারা।

প্রথম স্থান অর্জন করেন মৌলভীবাজারের কুলাউরা থানার আশরাফুল আলম, যিনি ১ ঘণ্টা ২২ মিনিট সময় নিয়ে দৌড় শেষ করেন। দ্বিতীয় হয়েছেন খুলনা সদরের পলাশ শেখ (সময়: ১ ঘণ্টা ২৮ মিনিট) এবং তৃতীয় হয়েছেন সুনামগঞ্জের রায়হান উদ্দিন (সময়: ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট)।

thumbnail_20250426_054618

আশরাফুল আলম জানান, তিনি এর আগে ১৩০ বারেরও বেশি দেশি ও   আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ভারতে ৪২ কিলোমিটার ম্যারাথনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।

এই ম্যারাথনে নারী অংশ নেন ৮ জন। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার জুলি জানান, তিনি সাধারণ নারীদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন। এবারই প্রথম তিনি পাহাড়ি এলাকায় ম্যারাথনে অংশ নেন। এর আগে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১২ বার ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছেন।

প্রথমবারের মতো হিল ম্যারাথনে অংশ নেন জাগো ফাউন্ডেশনের সহকারী শিক্ষক কলি চৌধুরী।

সবচেয়ে বয়স্ক প্রতিযোগী ছিলেন গাজীপুর থেকে আসা ৭৮ বছর বয়সী আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া। তিনি এর আগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৪২ বার ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন। হিল ম্যারাথনে এটি তার দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণ বলে জানান।

ম্যারাথন শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট উবাথোয়াই মারমা, নাছির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, অধ্যাপক মো. ওসমানগণি, বান্দরবান স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট ফোরাম এর সভাপতি অংচ মং মারমা, মো. সোহেল প্রসুখ।

প্রতিনিধি/টিবি