জেলা প্রতিনিধি
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১৭ পিএম
ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে পরিচয় যাচাইসহ এনআইডি কার্ড প্রদানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানববন্ধন করেছেন পর্দানসীন নারীরা। এছাড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন তারা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে পর্দানসীন নারী সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। স্মারকলিপিতে তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, ধর্মীয় কারণে ছবি তুলতে না পারায় এনআইডি কার্ড পাচ্ছেন না পর্দানসীন নারীরা। এজন্য নাগরিক সেবা নিতে পারছেন না তারা। প্রায় ৩০ লাখ পর্দানসীন নারীর এনআইডি আটকে রয়েছে। গত ১৬ বছর নির্বাচন কমিশনের কতিপয় স্বৈরাচারী কর্মকর্তা মুখচ্ছবি না তোলার অজুহাতে পর্দানীসন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছেন। ফলে এনআইডি কার্ড ছাড়া কোনো পর্দানসীন নারী নিজের জমি বিক্রি করতে পারছেন না, সরকারি ত্রাণ সহায়তাও নিতে পারছেন না। এছাড়া সন্তানদের স্কুলেও ভর্তি করাতে সমস্যা হচ্ছে এনআইডি কার্ড না থাকার কারণে। তাই বৈষম্যহীন দেশ গঠনের অংশ হিসেবে মুখচ্ছবির বদলে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো আধুনিক পদ্ধতিতে পরিচয় যাচাইয়ের মাধ্যমে এনআইডি কার্ড প্রদানের দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে পর্দানসীন নারী সমাজের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ফারহানা হক, আহমদ আয়িশা সিদ্দিকা ও শাহনাজ পারভীন প্রমুখ।
পরে মানববন্ধন শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন মানববন্ধনকারীরা। মানববন্ধনে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।
দাবিগুলো হলো- ১। বিগত ১৬ বছর ধরে যে সমস্ত সাবেক ইসি কর্মকর্তা পর্দানসীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে, ২। পর্দানসীন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসির অধিকার অক্ষুন্ন রেখে অবিলম্বে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা। এজন্য সকল ক্ষেত্রে পরিচয় শনাক্তে চেহারা ও ছবি মেলানোর সেকেলে পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে হবে, ৩। পর্দানসীন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় পুরুষ নয়, নারী সহকারী বাধ্যতামূলক রাখতে হবে।
প্রতিনিধি/টিবি