জেলা প্রতিনিধি
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
বছরের একই দিনে পহেলা ফাগুন আর ভালোবাসা দিবস। সেই সঙ্গে চলছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। ভাষা আর ভালোবাসার এই মাসে কদর বেড়েছে গোলাপ, রজনীগন্ধাসহ অন্যান্য ফুলের।
শরীয়তপুরে খুচরা ফুলের দোকানগুলোতেও বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। একই দিনে দুই দিবস ঘিরে বাহারি পসরা সাজিয়েছে ফুলের দোকানগুলো। সঙ্গে বেড়েছে দাম। বেশি বেড়েছে ভালোবাসার প্রতীক গোলাপের দাম।
শরীয়তপুরে ফাগুনের আগুনে ভালোবাসার প্রতি পিস গোলাপ বিক্রি হয়েছে ১ কেজি চালের দামে। প্রতিটি থাই গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। মাথায় পরার ফুলের রিং বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকায়। হাত তোড়ার দাম পড়ছে ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে জেলা শহরের গার্লস স্কুলের সামনের ফুলপট্টিতে ভিড় জমাতে শুরু করেন ক্রেতারা। কিশোর-কিশোরী, শিক্ষার্থী, কাপল থেকে শুরু করে মধ্য বয়সি নারী-পুরুষেরাও ভিড় করেন ফুলের দোকানে।
জেলায় সবচেয়ে বেশি ফুল আসে যশোরের গদখালী ও কালীগঞ্জ থেকে। বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে কিছু ব্যবসায়ী ফুল ব্যবসায়ী বাদেও শহরের রাস্তার পাশে বসিয়েছেন অস্থায়ী দোকান। দোকানগুলো সাজানো হয়েছে বাহারি সব ফুল দিয়ে। এসব ফুলের মধ্যে রয়েছে, গোলাপ, রজনিগন্ধা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, জীবসি, থাই গোলাপসহ নানা ফুলের সমাহারে।

ফুল কিনতে আসা আতিক বলেন, এ বছর ফুলের দাম অনেক বেশি। ১ কেজি চালের দামে ১টা ভালোবাসার গোলাপ। কিছু করার নাই প্রিয়জনকে ফুল দিতে হবে। প্রিয়জন খুশি হলে আমিও খুশি হব।
ফুল ক্রেতা সোহেল বলেন, এ বছর ফুলের দাম বেশি। প্রতি পিস গোলাপ ৩০ টাকার নিচে বিক্রি করছে না। দাম বেশি হলেও কী করব, প্রিয়জনের জন্য তো নিতে হবেই।

দাম বেশি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ফুল ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন বলেন, যশোরের পাইকারি ফুল আনতে অনেক বেশি দাম দিতে হচ্ছে। সেখানে ফুলের দাম বেশি হওয়ায় এ বছর ফুলের দাম বেশি।
প্রতিনিধি/এসএস