জেলা প্রতিনিধি
২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নে ছেলের (২০) বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অপবাদ এনে সে অপরাধে গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে মাকে (৪০) প্রকাশ্যে লাঠিপেটার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি এক বছর আগের হলেও শনিবার (২৬ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
লাঠিপেটা করা আইয়ুব আলী সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি (ইউনিয়ন পরিষদ) সদস্য। ভুক্তভোগী নারী একই ইউনিয়নের চরপানা উল্যা গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে বিএনপির ২ নেতার ওপর হামলা
ভাইরাল হওয়া এক মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, আশপাশে নারী-পুরুষ, ছোট-বড় মানুষ জড়ো হয়ে আছেন। মাঝখানে ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ছেলের অপরাধে মায়ের সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়। ভুক্তভোগী মা অস্বীকার করলে উপর্যুপরি লাঠিপেটা করতে থাকেন আইয়ুব আলী। পাশের কেউ কেউ ছেলের অপরাধের জন্য মাকে না মারার অনুরোধ করলেও তিনি কথা শুনেননি। আবার অনেকেই বিবি কুলসুমকেই দায়ী করেন।
স্থানীয় কয়েকটি বাড়িতে চুরির অভিযোগে প্রায় এক বছর আগে এই সালিস ডাকা হয়।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তোলা হয়। তারপর আমাকে দোষী করে সবার সামনে লাঠিপেটা করেন আইয়ুব আলী। অপরাধীর মা হওয়ায় কারও কাছে ন্যায়বিচার পাইনি। ঘটনাটি আমি কাউকে জানাতে পারিনি, কারণ আইয়ুব আলী আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী সদস্য।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতা গ্রেফতার
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, “আমার বাড়ি-ঘর লুট করা হয়েছে। পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটা অনেক আগের। তবে আমরা মুখ খুলতে পারতাম না। আমাদেরকে অনেক অত্যাচার করা হয়েছে। আমি সবার শাস্তির দাবি করছি।”
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, ‘চুরির অপবাদ ছিল সত্য, তবে আমি তাদের আত্মীয় হই। তাই শাসন করছি। আর ভিডিওটি এক বছর আগের। আমি দু’বারের ইউপি সদস্য। আওয়ামী লীগের সমর্থক। পুরোনো ভিডিও দিয়ে বর্তমান সময়ে বিএনপির লোকেরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
এ বিষয়ে চরজব্বর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। যদি অভিযোগ আসে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রতিনিধি/ এমইউ