জেলা প্রতিনিধি
১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির ১৩৪ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে বসছে ভবের হাট।
তিন দিনের উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায়। আনুষ্ঠানিকভাবে তিরোধান দিবসের তিন দিনের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্ঠা ফরিদা আখতার।
আরও পড়ুন: কোটালীপাড়ায় জমে উঠেছে লক্ষ্মী প্রতিমার হাট
তবে এর আগেই মনের টানে চলে এসেছেন সাধু-বাউল-ভক্তরা। লালনের গানে গানে প্রচার করছেন তার ‘মানব দর্শন।’
১৭ অক্টোবর ফকির লালন সাঁইজির ১৩৪ তম তিরোধান দিবস। প্রতিবারের মতো এ দিন সন্ধ্যায় শুরু হবে তিন দিনের অনুষ্ঠানমালা। কিন্তু এর আগেই শুরু হয়ে গেছে সাধুর সঙ্গ।
কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় সাঁইজির আখড়াবাড়িতে জমেছে ভিড়। বৈঠকে বসেছেন সাধু বাউলরা। আখড়াবাড়ি ঘিরে এখন গানে গানে সারাক্ষণ চলছে লালনের জাতপাতহীন, মানবতাবাদী, অহিংস দর্শনের প্রচার।
আরও পড়ুন: বরগুনায় পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে বরিশালের ডিআইজি
১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক লালন সাঁইজির দেহত্যাগের দিন ধরে এভাবেই ১৩৪ বছর ধরে অনুষ্ঠান চলে আসছে। দিন-ক্ষণ ঠিক রেখে আগেই সাঁইজির বারামখানায় চলে আসেন দেশ-বিদেশের সাধু ও বাউল ভক্তরা।
অনেক সাধু-ফকির এরই মধ্যে আখড়াবাড়ির ভেতরে অডিটোরিয়ামের নিচে আসন পেতে বসেছেন। সাধু-ফকিররা বলেন, পয়লা কার্তিক ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় সব সাধু-গুরু আসন নিয়ে চা-মুড়ির সেবার মধ্য দিয়ে তিরোধানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। পরের দিন ১৮ অক্টোবর সকালে বাল্যসেবা ও দুপুরে পূর্ণসেবার মধ্য দিয়ে সাধুসঙ্গের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেছেন, উৎসবের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে কাজ করছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করা হচ্ছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ