জেলা প্রতিনিধি
২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৬ এএম
সড়ক দুর্ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকের ওপর হামলা হামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক। মূলত, ঢাবির স্টিকারযুক্ত গাড়ি চালিয়ে বাইসাইকেল চালককে চাপা দিয়ে জনতার হাতে ধরা খেয়ে উল্টো কর্তব্যরত পুলিশের ওপরে ক্ষিপ্ত হয়ে এবং সাংবাদিককে মারধর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত ১০ টার দিকে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ লাইন্স গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও বেতার কেন্দ্রে চাকরিতে বৈষম্য নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন
অভিযুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর রাজবাড়ী জেলার পাংশার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
গাড়িচাপায় আহত দিনমজুর ইমদাদুল কবির রাজবাড়ী সদর উপজেলার রায়নগর গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ২৩ আগস্ট দিবাগত রাত ১০ টার দিকে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ লাইন্সের গেটের সামনের সড়কে বাইসাইকেল আরোহী ইমদাদুল কবিরকে চাপা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীরের গাড়ি। এ সময় পুলিশ লাইন্সের ভেতর থেকে দুই পুলিশ সদস্য গেলে তাদের ওপর চড়াও হন তিতুমীর। খবর পেয়ে ঢাকা মেইলের রাজবাড়ী প্রতিনিধি কাজী তানভীর সেখানে গিয়ে দুর্ঘটনার ভিডিও করতে গেলে তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে মোবাইল কেড়ে নেন ড. রাশেদ আল মাহমুদ।
এ সময় গাড়িতে থাকা তার বাবা আরশেদ আলী সাংবাদিকসহ উপস্থিত জনতাকে নানাভাবে বকাবকি করতে থাকেন এবং ক্ষমতার দাপট দেখান। পুলিশকে ধমক দিয়ে তারা বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক। এছাড়া আমরা আমাদের পরিচয় বলবো না। তোমরা যা পারো করো।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসসের সাংবাদিক নিহত
পরে সদর থানা পুলিশ গিয়ে গাড়ি জব্দ করে তাদের থানায় নিয়ে যায়। আর স্থানীয়রা আহত বাইসাইকেল চালককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখারুল আলম প্রধান জানান, থানায় আসার পর উভয়পক্ষের সবাই আলোচনা করে। এরপর শিক্ষক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর আহত বাইসাইকেল চালকের চিকিৎসা খরচ বহন করেছেন।
সাংবাদিক কাজী তানভীর মাহমুদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
প্রতিনিধি/ এমইউ