images

সারাদেশ

হাসিনা ও তার দোসরদের গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে: প্রিন্স

জেলা প্রতিনিধি

১৬ আগস্ট ২০২৪, ১০:১৫ এএম

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, অবিলম্বে স্বৈরাচারী হাসিনা ও তার দোসরদের গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পৌর শহরের মহিলা মার্কেট প্রাঙ্গণে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।

আরও পড়ুন: অজ্ঞাত স্থান থেকে পদত্যাগ করলেন হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকে শেখ হাসিনা জনগণের বিজয় নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ জানতে চায় ভারত সরকারের হেফাজতে থেকে হাসিনা কীভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এটা জানার অধিকার বাংলাদেশের জনগণের আছে। একই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে জয় ভারতকে বাংলাদেশে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার পরিচয় দিয়েছেন। এতে জয় আবারও প্রমাণ করলো জনগণ নয়, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস ভারত। আর এভাবেই ১৫ বছর ভারতের আনুকুল্যে ক্ষমতা জবরদখল করে গদিতে ছিল শেখ হাসিনা। কিন্তু জনদ্রোহের গণবিপ্লবে গদি হারিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে হয়েছে।

এ সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আরও বলেন, অবিলম্বে স্বৈরাচারী হাসিনা ও তার দোসরদের গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে। ইতিহাসের নিকৃষ্টতম এই স্বৈরাচারের বিচার না হলে শত শত শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে উত্তাল যশোর

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রিন্স বলেন, এখনও প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থেকে অনেকেই ষড়যন্ত্রে ইন্ধন দিচ্ছে। এই আওয়ামী প্রেতাত্মাদের অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। কারণ, হিন্দু সম্প্রদায়ের জনগণকে নিয়ে শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার কল্পিত কাহিনি প্রচার করে তাদেরকে ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার বানাতে চাইছে। কিন্তু তার ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না।

অবস্থান কর্মসূচিতে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে ও আবু হাসনাত বদরুল কবিরের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র-ছনতা আন্দোলনে শহীদ বিজয় ফরাজীর বাবা সাইদুল ফরাজী, শহীদ রাজু আহমেদের মা রাহেলা খাতুন, গুলিবিদ্ধ মেহেদী হাসান, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, আরফান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

প্রতিনিধি/ এমইউ