জেলা প্রতিনিধি
২৫ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৬ পিএম
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের কিশোর পাখি ভ্যানচালক রুবেল হোসেন হত্যা মামলার একমাত্র আসামি সোহাগ আহম্মেদকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে আসামিকে আরও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (২য়) বিচারক মো. মাসুদ আলী।
দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ আহম্মেদ (২১) ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৭ জুন বিকেল ৪টার দিকে কিশোর ভ্যানচালক রুবেলকে সদরের দশমাইল বাজারে ভাড়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হয় আসামি সোহাগ আহম্মেদ। এ সময় প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে কুতুবপুর মর্তুজাপুর গ্রামের মাঠের ভেতর নিয়ে গিয়ে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে রুবেলকে হত্যা করে সোহাগ। হত্যার পর মাঠের একটি খেজুর বাগানের ভেতর তার মরদেহ গামছা ও ঘাস দিয়ে ঢেকে রাখে। পরে ভ্যানটি নিয়ে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজারে বিক্রি করতে যায় সোহাগ। সেখানে ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে একপর্যায়ে ধরা খেতে হবে বুঝতে পেরে ভ্যানটি ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সোহাগকে আটক করে।
গত বছরের ২৮ জুন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একমাত্র আসামি সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। একই বছরের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক হারুন অর রশিদ একমাত্র আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২১ জনের মধ্যে ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামি সোহাগ আহম্মেদকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাড. শরীফ উদ্দীন হাসু জানান, অপরাধের ধরনে আসামির ফাঁসি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার বয়স বিবেচনায় বিজ্ঞ বিচারক মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।
প্রতিনিধি/এসএস