জেলা প্রতিনিধি
১৬ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
কোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল পুরো বাংলাদেশ। বিভিন্ন জায়গা ও কলেজ ক্যাম্পাসে চলছে জোর আন্দোলন। এবার সে কোটা ইস্যুতে কক্সবাজারে সমাবেশ ও মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় শতাধিক শিক্ষার্থী কক্সবাজারের প্রবেশমুখ লিংকরোড থেকে আনন্দোলন শুরু করে।
এক পর্যায়ে কক্সবাজার সরকারি কলেজ গেইটের সামনে গেলে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে ছত্রভঙ্গ হয়। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে না হতে আবারও জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। পরে কক্সবাজার সরকারি কলেজ গেইটের সামনে বাস, মোটরসাইকেল এবং সাইনবোর্ডে হামলা ও ভাঙচুর চালায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা বলেন, যৌক্তিক দাবি নিয়ে তারা সারাদেশের ন্যায় আনন্দোলনে নেমেছে। তবে ছাত্রলীগ ও পুলিশের লোকজন এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এদিকে, কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম মোস্তাক বলেন, চিহ্নিত শিবির ক্যাডারদের নিয়ে বহিরাগত কিছু শিক্ষার্থীরা এসে তাদের কলেজের সামনে নানা স্লোগান ও হামলা চালায়। এতে কলেজে নানা জিনিস ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া ৪টি বাইক ভাঙচুর করা হয়।
ঘটনার পর পরই কলেজ গেইটে অবস্থান নেয় জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, যৌক্তিক আন্দোলনের পক্ষে রয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। কিন্তু এই আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে। তাই সাধারণ শিক্ষার্থী ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা ছাত্রলীগের এই অবস্থান।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে যাতে কোনো প্রকার জানমালের ক্ষতি না হয়। এছাড়া ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে কোটার দেশব্যাপী নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বেলা ১২টায় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে জেলা প্রশাসক চত্বরে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি নুরুল হাকিম নূকীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম আলাউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুর রহিম শাহীনসহ জেলা ও উপজেলার নেতারা বক্তব্য দেন।
প্রতিনিধি/এসএস