ফেনীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ফেনী শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
তাৎক্ষণিক পুলিশ দুই পক্ষকে নিবৃত করার চেষ্টা করায় হতাহতের তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অবিলম্বে কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নেওয়া ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দুপুরের দিকে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে গণতান্ত্রিক বাম জোটের নেতাকর্মীরা। এতে বক্তব্য দেন- বাসদ মার্কসবাদী দলের ফেনীর আহবায়ক জসিম উদ্দিন, সদস্য নয়ন পাশা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজনিন সুলতানা, সংগঠক মোবারক জামশেদ, নারী মুক্তি কেন্দ্রের সদস্য সুফিয়া আক্তার ডলি, সংগঠক রায়হানে কুমুর প্রমুখ।
বক্তব্য চলাকালে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের জেলা সভাপতি মফিজ উদ্দিন মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মহসিন পাটোয়ারী, ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন যুবক মানববন্ধনে হামলা চালিয়ে ব্যানার কেড়ে নেয়।
বিজ্ঞাপন
হাতাহাতির একপর্যায়ে মানববন্ধনকারীদের মারধর করা হয়। এ সময় পুলিশ সদস্যরা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।
বাসদ নেতা জসিম উদ্দিন জানান, জনগণের অর্থে পরিচালিত পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে মানববন্ধনে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। হামলাকারীদের আঘাতে আমার নাক ফেটে গেছে। আমাদের নারী সদস্যদেরও মারধর করা হয়েছে।
সুফিয়া আক্তার ডলি জানান, আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পরিচয়ধারীরা হামলা চালিয়েছে। প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে এমন ন্যাক্কার জনক হামলার বিচার চাই।
ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমদ তপু জানান, মানববন্ধনে আমরা হামলা করিনি। কিছু লোক শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করতে চেয়েছিল। আমরা তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছি।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো. রহুল আমিন জানান, হামলার বিষয়টি সঠিক নয়। দুপক্ষ মুখোমুখি হওয়ার সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
প্রতিনিধি/এসএস