জেলা প্রতিনিধি
১১ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ইতোমধ্যে চাকরির প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে তিনিসহ বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছেন। আর এই ঘটনাকে নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে।
এই জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব চন্দিয়া গ্রামে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ১৮ স্বর্ণের বারসহ আটক ১
তিনি এই গ্রামের ছবির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে। বর্তমান সেখানে তার পৈত্রিক বাড়িটি জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে পড়ে আছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছোট বেলা থেকে মেধাবী ছাত্র ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। স্থানীয় কঞ্চিপাড়া এমএইউ একাডেমি স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ভালো ফলাফল করে গাইবান্ধা সরকারি কলেজে ভর্তি হন। সেখানে থেকে এইচএসসি, অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করেন তিনি। এরপর ঢাকায় চলে যান। গ্রামে এলেই তিনি সবাইকে ডাকতেন।
স্থানীয়রা জানায়, আলোচিত জাহাঙ্গীর আলমের পিতা ছবির উদ্দিন মন্ডল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন খুলনায়। সেখানে থেকেই তিনি অবসরে যান। কয়েক বছর আগে জাহাঙ্গীর আলমের বাবা-মা মারা গেছেন। জাহাঙ্গীর আলমরা চার ভাই ও দুই বোন। বাড়িতে এখন তেমন কেউ থাকেন না। জাহাঙ্গীর আলমের ডাক নাম ফুয়াদ। গ্রামমবাসী তাকে ফুয়াদ নামেই বেশি চেনেন। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট জাহাঙ্গীর আলম। বড় ভাই ফারুক মন্ডল সরকারি চাকরি করতেন। তিনি মারা গেছেন। অপর ভাই সাইফুল ইসলাম শিবলি সোনালী ব্যাংকে চাকরি করতেন। অবসরের পর তিনি এখন গাইবান্ধা শহরে জায়গা কিনে সেখানেই বাড়ি করে থাকছেন। অপর ভাই মোহাম্মদ পটু মন্ডলও মারা গেছেন। জীবিতকালে তিনি গ্রামে থাকতেন।
আরও পড়ুন: মাজারে ঘুমাচ্ছিল ১৯ মামলার আসামি
এই জাহাঙ্গীর আলমের গ্রামের বাড়িতে কাজ করেন লিয়াকত আলী। তিনি বলেন, গ্রামের বাড়িতে বাবার কাছ থেকে ভিটেমাটির যা ভাগ পেয়েছিলেন, এক বছর আগেই তা দুই কোটি টাকায় বিক্রি করে গেছেন জাহাঙ্গীর আলম। শুনেছি ঢাকায় তিনি ফ্ল্যাট কিনেছেন। সেখানেই ছেলে-মেয়ে নিয়ে থাকেন। প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তার গ্রেফতার হওয়ার খবর শুনে এলাকাবাসী লজ্জিত।
ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহেল রানা সালু বলেন, জাহাঙ্গীর আলম গ্রামের বাড়িতে কিছুই করেননি। নিজের ভাগের সবকিছু বিক্রি করেছেন। ইতোমধ্যে চাকরির প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শুনেছি।
প্রতিনিধি/ এমইউ