images

সারাদেশ

কালভার্ট নয় যেন মরণ ফাঁদ, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

জেলা প্রতিনিধি

১১ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩২ এএম

ঝিনাইদহের মহেশপুর শহরের ব্যস্ততম সড়কগুলোর মধ্যে মহেশপুর-যশোর সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ। শহরের হুদোর মোড়-বেলেমাঠ বাজারের মাঝামাঝি স্থানের কালভার্ট ভেঙে দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও প্রশাসনের কোনো নজর নেই। কালভার্টটি এখন যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন।

সরজমিনে দেখা যায়, কালভার্টটির দুই পাশে ধসে গিয়ে বড় বড় দুটি গর্ত হয়েছে। মাঝখানেও ভেঙে যাওয়ায় প্লেনসিট দিয়ে কোনোরকম যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালভার্টটির মাঝখান দিয়েই বাস, ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচল করছে।

মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিদুল ইসলাম জানান, প্রায় ৭ মাস ধরে কালভার্টটি ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে অপরিচিত লোকজন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ জেলা ও উপজেলা সদরে চলাচল করাসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্যও এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও সকল কাজেই এ উপজেলার মানুষকে যশোরের ওপর নির্ভর করতে হয়। সামান্য অসুস্থ হলে এলাকার মানুষকে পাঠানো হয় যশোর হাসপাতালে। এই সড়কটিই যশোরের সঙ্গে যোগাযোগের সহজতর একমাত্র মাধ্যম। প্রশাসনের এমন গাফিলতিতে কালভার্টটি সংস্কার না হওয়ায় মানুষের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় পথচারী হারুন-আর রশিদ বলেন, কিছুদিন আগে ভাঙা ওই কালভার্টে মোটরসাইকেল ও অটোভ্যান পরে গিয়ে দুই ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত হন।

আরেক পথচারী ফারুক হোসেন বলেন, হাজার হাজার মানুষকে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক সময় মনেই থাকে না কালভার্টটি ধসে গেছে। চলাচলে খুব ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলেও প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতে হয়।

কয়েকজন ট্রাক ড্রাইভার জহিরুল ইসলাম ও মামুন, অটো ভ্যানচালক মনিরুল, ট্রলিচালক সোহেল বলেন, কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় জীবনের অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বর্তমানে এটি নাজুক অবস্থায় থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেও হাজার হাজার গাড়ি চালকদের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে। তাছাড়া কলেজ, স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা কালভার্টের ওপর দিয়ে যানবাহনে যাতায়াত করছে। অনেক দিন ধরে ভাঙা থাকায় কালভার্টের ধসে যাওয়া অংশটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে যাচ্ছে। ফলে দিন দিন ঝুঁকি আরও বাড়ছে। 

মহেশপুর উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ শাহারিয়ার আকাশ জানান, রাস্তাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের, যে কারণে তাদের কিছুই করার নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াসমিন মনিরা জানান, বিষয়টি সড়ক ও জনপদ বিভাগকে জানানো হয়েছে। খুব দ্রুতই কালভার্টটি সংস্কার করা হবে। 

প্রতিনিধি/টিবি