জেলা প্রতিনিধি
০৭ জুন ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
কী অপরাধ ছিল আমার স্বামীর? সে রাজনীতি করে, এটা কি তার অপরাধ? মাদক কারবারি, জুয়াড়ি ও গরু-মহিষ চোরদের বিরুদ্ধে কথা বলা কি অপরাধ? তিনি তো কখনও মানুষের ক্ষতি করেননি। আমাদের বিলাসবহুল বাড়ি নেই, অবৈধ টাকা নেই। গ্রামের গরু-মহিষ চোর, মাদক কারবারি ও জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলায় আজ আমার স্বামীর জীবন হুমকির মুখে।
শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে নিজ ঘরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন লতিফা বেগম (২৮) নামে এক নারী।
আরও পড়ুন: আনসার সদস্যদের হাত-পা বেঁধে ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টা
লতিফা বেগম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রহমনী মোহন ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগের আহ্বায়ক মো. হারুনুর রশিদ মোল্লার স্ত্রী।
বৃহস্প্রতিবার (৬ জুন) রাত পৌনে ১২টার দিকে ওই ইউনিয়নের উত্তর চর রহমনী গ্রামের মোল্লা বাড়ির হারুন মোল্লার ঘরে একদল দুষ্কৃতকারী হানা দেয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রাণের ভয়ে ঘর থেকে পালান যুবলীগ নেতা হারুন মোল্লা।
ভুক্তভোগী হারুন মোল্লার স্ত্রী আরও বলেন, গত কয়েক দিন ধরে তার স্বামী হারুন মোল্লা গ্রামের গরু-মহিষ চোর, ভূমিদস্যু, মাদক কারবারি ও জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছেন।
এ জন্য অপরাধীদের বিশাল একটি দল গত রাতে আমার (স্বামী) হারুন মোল্লাকে টার্গেট করে ঘরে হানা দেয়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে হারুন মোল্লা ঘর থেকে কৌশলে বের হয়ে যান।
আরও পড়ুন: র্যাব পরিচয়ে কারখানা শ্রমিকদের বেতনের টাকা লুট
তারা আমার স্বামী হারুন মোল্লাকে না পেয়ে আমাদের বৌ-শ্বাশুড়িকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। ভাংচুর করে পুরো বসতঘর ও আসবাবপত্র। এছাড়া নগদ ১৫ লাখ টাকা ও সাত ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে।
খবর পেয়ে রাতেই সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোবারক হোসেন ও নরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, হারুন মোল্লার বাড়িতে ভাংচুরের ঘটনা শুনে রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানানো হলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/ এমইউ