images

সারাদেশ

সাকিবুলের মাথায় ইউএনও’র হাত

জেলা প্রতিনিধি

০৬ জুন ২০২৪, ০৭:০৫ পিএম

বাবা অসুস্থ, করতে পারেন না কোনো কাজ। তাই বাধ্য হয়েই ১০ বছর বয়সী সাকিবুল হাসানের ওপর এসে পড়েছে সংসারের দায়িত্ব। বন্ধ হয়েছে লেখাপড়া। নাম লিখিয়েছে সে শিশুশ্রমে। রোজগারের আশায় একটি ওয়েল্ডিংয়ের দোকানে কাজ করছেন সাকিবুল। যা আয় করছেন তা দিয়ে কোনো রকমে চলছে সংসার। তা চোখে পড়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদি ইসলামের।

খোঁজ-খবর নিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সাকিবুলের বাবা-মাকে ডেকে পাঠান তার দফতরে। এরপর শোনেন তাদের সব সমস্যার কথা।

আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বার্মিজ অজগর উদ্ধার 

তিনি তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহযোগিতাও করেন। দায়িত্ব নেন সাকিবুলের লেখাপড়ার। যেকোনো সমস্যায় সাকিবুলের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন ইউএনও।

সাকিবুল শৈলকুপা উপজেলার সাধুহাটি গ্রামের নাজির হোসেনের ছেলে।

এ বিষয়ে নাজির হোসেন বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে আয়-রোজগার করতে পারি না। তাই সাকিবুলের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। একটি ওয়েল্ডিংয়ের দোকানে কাজে দিয়েছি। ওর অল্প রোজগারেই কোনো রকমে সংসার চলছে। লেখাপড়া করানোর সামর্থ্য আমাদের নেই। থাকলে এত ছোট মানুষকে কাজে পাঠাতাম না।’

আরও পড়ুন: গারো পাহাড়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ, হুমকিতে বন্যপ্রাণী

শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদি ইসলাম বলেন, ‘অভাবের তাড়নায় সাকিবুল একটি ওয়েল্ডিংয়ের দোকানে কাজ করতো। বিষয়টি নজরে এলে সাকিবুলের বাবা-মাকে ডাকা হয়। সব সমস্যার কথা শুনে তাৎক্ষনিক আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। পরবর্তীতে তার যেকোনো সমস্যায় উপজেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে। তবে শুধু সাকিবুলই না, শৈলকুপায় আরও অনেক শিশু শ্রমিক রয়েছে। তালিকা করে পর্যায়ত্রমে তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’

প্রতিনিধি/ এমইউ