images

সারাদেশ

নির্বাচনে কাজ না করায় ৫ জনের ওপর হামলা 

জেলা প্রতিনিধি

৩১ মে ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম

জাতীয় নির্বাচনে কাজ না করার জের ধরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর দিন বর্তমান এমপির সমর্থকদের হামলায় সাবেক এক বিজিবি সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (৩১ মে) মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন, মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নোয়াব সরকারের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য খোরশেদ আলম সরকার (৬২), একই এলাকার রব্বান সরকারের ছেলে মানিক সরকার (৫৫), মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবদুর রহমান (৫৫), মৃত আবদুল মজিদের ছেলে কবির হোসেন (৫০), কুসুম সরকারের ছেলে দেলোয়ার সরকার (৪৫)।

আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় বাড়ি-ঘর ভাঙচুর

হামলায় আহত অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য খোরশেদ আলম সরকার জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে নির্বাচন করেন সাবেক সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন ও বর্তমান এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে মুরাদনগরের বিভিন্ন এলাকায় বর্তমান সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীরের সমর্থক ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠে। এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে আহসানুল আলম সরকার কিশোর। এতে পরাজিত হন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী গোলাম সারোয়ার চিনু। এছাড়া নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী হন শাহিন আর পরাজিত হন অ্যাডভোকেট ফয়সাল। হামলার শিকার সবাই জাতীয় নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম সরকার, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আহসানুল আলম সরকার কিশোর ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনের সমর্থন করায় এ হামলা চালানো হয়েছে - বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, তারা ঘূর্ণিঝড়ের সময় আহত এক সমর্থককে দেখতে যান। সমর্থকের বাড়ি এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের সমর্থক ও বর্তমান মেম্বার আব্দুর রহিমের বাড়ির সামনেই। তারা যখন ওই বাড়ির সামনে যান আচমকা রহিমসহ আরও কয়েকজন তাদের ওপর হামলা করে। তাদের সবার হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। এলোপাথাড়ি হামলায় তাদের কারও পা ভেঙেছে, কারও মাথা ফেটেছে। তারা সবাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। বারবার তাদের ওপর এভাবে হামলা করা হচ্ছে। তারা এসবের প্রতিকার চান।

আরও পড়ুন: ফতুল্লায় ২ গ্রুপের সংঘর্ষের সময় ভাংচুর ও লুটপাট

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রহিম মেম্বারকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তার কোনো সাড়া মেলেনি।

বাঙ্গরাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম এ বিষয়ে বলেন, আমি একটা মারামারির ঘটনা শুনেছি। একজন বিজিবি সদস্য আহত হওয়ার ঘটনাটি জানি। তবে এখনও কোনো পক্ষের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/ এমইউ