images

সারাদেশ

ফতুল্লায় ২ গ্রুপের সংঘর্ষের সময় ভাংচুর ও লুটপাট

জেলা প্রতিনিধি

৩১ মে ২০২৪, ০৭:২১ পিএম

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আবারও দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অলিদ নামে একজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। খবর পেয়ে ফাঁকা গুলি করে সংঘর্ষ থামিয়েছে পুলিশ। এ সময় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবরনগর এলাকায় রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় বাড়ি-ঘর ভাঙচুর

আহত অলিদ (৪০) আকবরনগর এলাকার মরহুম দুদু মিয়ার ছেলে। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রায় সময়ই রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এবারের সংঘর্ষে শিশু ও কিশোর বয়সী ছেলেদের টেঁটা হাতে দৌড়াতে দেখা গেছে। সকাল থেকেই ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দু’পক্ষের মধ্যেই চলছিল উত্তেজনা। এরপর দুপুরে উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে টেঁটা, রাম দা হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় সামেদ আলী গ্রুপের অলিদ মিয়া তার হাতে, পায়ে ও মাথায় টেঁটার আঘাত পায়।

এর আগে ২৬ মে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দুই গ্রুপ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দফায় দাফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওই সময় উভয় গ্রুপের অন্তত ১২ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। তখন পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ১৭ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি করে। এ ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় ফের সংঘর্ষে জড়ায় রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপ।

আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অর্ধশতাধিক বাড়ি ভাংচুর, আহত ৮

এ বিষয়ে বক্তাবলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মফিজ উদ্দিন জানান, ২০ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। আকবরনগরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম বলেন, রেজাউল, জিল্লুর রহমান, আসলাম ও শহিদুল্লাহ নামে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে আকবরনগর এলাকাকে সন্ত্রাসমুক্ত করার।

প্রতিনিধি/ এমইউ